বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ১০টি ব্যবসা
বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ১০টি ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমাদের এই পোস্ট পড়ে আপনি বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যাবসা কোনটি সে সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
আজকে আপনি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি জানতে পারবেন বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ১০টি ব্যবসা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ এবং বিস্তারিত তথ্য। যা পড়ে আপনি অবশ্যই উপকৃত হবেন, তবে তার জন্য অবশ্যই আপনাকে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে।
পোস্ট সূচিপত্র:
- বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ১০ টি ব্যবসা সম্পর্কে
- গ্রামে লাভজনক ব্যবসা করার ৪টি উপায়
- জুতা তৈরী করে লাভজনক ব্যবসা করার উপায়
- কোর্স বিক্রয়ের মাধ্যমে লাভজনক ব্যবসা
- পুরাতন ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় করে লাভজনক ব্যবসা
- ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা। সবচেয়ে লাভজনক ১০টি ব্যবসার মধ্যে একটি
- কাপড় বানিয়ে ও ক্রয়-বিক্রয় করে লাভজনক ব্যবসা করার উপায়
- মোবাইল সার্ভিসিং করে লাভজনক ব্যবসা করার উপায়
- খাবারের হোটেল বা রেস্টুরেন্ট করে লাভজনক ব্যবসা করার উপায়
- অনলাইনে লাভজনক ব্যবসা করার উপায়
- বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করার উপায়
- বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক ব্যাবসা কোনটি
- সবশেষে
বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ১০ টি ব্যবসা সম্পর্কে
বর্তমানে মানুষ বিভিন্ন ধরণের উপায় অবলম্বন করে অনলাইন থেকে এবং অফলাইন থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে। আর তার মধ্যে একটি ইনকামের পথ হলো ব্যবসা। বর্তমানে মানুষ ব্যবসা করেও প্রচুর টাকা ইনকাম করছে এবং এই ব্যবসা এমন একটি ইনকামের পথ বা রাস্তা যা আপনি আপনার স্বাধীন মতো করতে পারবেন এবং প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যা আমরা বিস্তারিত এই পোস্টে আলোচনা করবো।
কিন্তু তার আগে অবশ্যই আমাদের ব্যবসা সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া উচিত এবং একটু ধারণা থাকা উচিত। ব্যবসা করার আগে আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, ব্যবসা কি, বর্তমানে ব্যবসা করে কি উন্নতি করা যাবে, বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক ব্যাবসা কোনটি, গ্রামে লাভজনক ব্যাবসা কোনটি, বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসা কি করা যায় ইত্যাদি। আজকে এই সকল প্রশ্নের সমাধান রয়েছে আমাদের এই পোস্টে।
উত্তরে আমি বলবো হ্যাঁ আপনি চাইলে খুব সহজেই গ্রামে লাভজনক ব্যবসা করতে পারেন, বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যাবসা করতে পারেন। তাছাড়া বর্তমানে আপনারা যদি সঠিক নিয়মে এবং সৎভাবে ব্যবসা করেন তাহলে আপনি অবশ্যই একজন সফল ব্যবসায়িক হতে পারবেন এবং এই ব্যবসা থেকে উন্নতি করতে পারবেন্। কি সেই নিয়মগুলো কিভাবে পালন করবো সে সকল বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন।
গ্রামে লাভজনক ব্যবসা করার ৪টি উপায়
বর্তমানে অনেক মানুষ কাজের জন্য চলে আসে শহরে এবং কাজ করে টাকা ইনকাম করে। শহরে এসে কেউ চাকরি করে, কেউ রিকশা চালায়, কেউ ইণ্জ্ঞিনিয়ারিং করে আবার কেউ ব্যবসা করে এবং এই কাজ করে কেউ মাসে এক লক্ষ টাকা ইনকাম করে আবার কেউ করে মাসে ১০০ টাকা ইনকাম করে। কিন্তু তাদের মতো সকল মানুষ গ্রাম থেকে শহরে চলে আসতে পারে না যার অনেক ধরণের কারণ রয়েছে।
কেউ গ্রাম থেকে শহরে আসে না তার পরিবারের জন্য, কেউ আসে না স্মৃতির জন্য, কেউ আসে না অভাবের জন্য ইত্যাদি এরকম আরো অনেক কারণ রয়েছে যার জন্য গ্রামের অনেক মানুষই শহরে আসতে পারে না ইনকামের জন্য। কিন্তু তারাও মানুষ তারাও খেয়ে-পড়ে বাঁচতে চাই, তাদেরও কিছু শখ আছে যার জন্য তাদের কোনো কাজের প্রয়োজন হবে যার মাধ্যমে তারা টাকা উপার্জন করতে পারবে এবং নিজেদের শখ পূরণ করতে পারবে।
কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে তাদের জন্য কোন কাজটা সবথেকে সহজ এবং লাভজনক হবে। আর আজকের এই পোস্টটি তাদেরও জন্য। এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলবো তাদের জন্য ভালো হবে ব্যবসা করা, কেননা এই ব্যবসা এমন একটি কাজ যে কাজ করে আপনারা শান্তি পাবেন। কারণ আপনি ব্যবসা আপনার স্বাধীন মতো করতে পারবেন এবং লাভবান হতে পারবেন। তাই আপনি চাইলে গ্রামে থেকে ব্যবসা করতে পারেন এবং লাভবান হতে পারেন।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, গ্রামে করা যায় এরকম লাভবান ব্যবসা কোনটি কিংবা গ্রামে কোন ব্যবসা করলে আমি লাভবান হবো। বর্তমানে করা যায় এরকম অনেক ব্যবসা রয়েছে যা আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন তার মধ্যে অন্যতম ৪টি ব্যবসা তুলে ধরা হলো:
তাজা ফল-মূলের ব্যবসা: গ্রামে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে তাজা ফল-মূলের ব্যবসা
অন্যতম একটি ব্যবসা। এর মাধ্যমে আপনি যেরকম মানুষের সাহায্য করতে পারবেন তাজা ও
ফরমালিনমুক্ত ফল-মূল দিয়ে সেরকম আপনি এখান থেকে প্রচুর টাকা ইনকামও করতে পারবেন।
কেননা বর্তমানে প্রায়ই সব জায়গায় ফল-মূলের ভিতরে ফরমালিন যুক্ত করে তারপরে বিক্রয়
করে, যার ফলে সেই ফল খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে।
কিন্তু আপনি যদি কষ্ট করে আপনার জমি থেকে উৎপন্ন তাজা ও ফরমালিনমুক্ত ফল বিক্রয় করেন এবং মানুষ যদি বুঝতে পারে যে আপনার বিক্রয় করা ফলটি তাজা এবং ফরমালীন মুক্ত এবং আপনার বিক্রয় করা ফল খেয়ে কেউ অসুস্থ হচ্ছে না তাহলে স্বাভাবিকভাবে আপনার কাছে থেকেই সকল ব্যাক্তি ফল-মূল কিনবে। তাই খুব সহজে ও সরল ভাষায় এই কথা বলা যায় যে, আপনি সৎ ভাবে গ্রামে তাজা ফলমূলের ব্যবসা করে লাভবান হতে পারেন।
মাছ ও মুরগির ব্যবসা: বর্তমানে জিনিসের যত দাম বাড়ছে ইনকামের জন্য পরিশ্রমও প্রচুর করছে তাই তাদের শরীরে প্রয়োজন শক্তি এবং ভিটামিন যা মাছ ও মুরগিতে যথেষ্ট পরিমাণ রয়েছে। গ্রামে সাধারণত কম-বেশি সকলেরই পুকুর, জমি ও মুরগি রয়েছে। আপনি যদি একটু বুদ্ধি করে সেই খালি পুকুরে মাছ চাষ করার ও জমিতে খামার তৈরী করে সেখানে মুরগি চাষ করার চেষ্টা করেন তাহলে আপনি এই ব্যবসা অনেক লাভবান হতে পারবেন।
পুকুরে যদি আপনি মাছ চাষ করেন এবং সেই মাছে কোনো প্রকার ফরমালীন না দেন তাহলে আপনি একইভাবে এই মাছও ক্রেতাদের কাছে বিক্রয় করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি যদি আপনার খামারে মুরগি পোষেণ এবং তাদের খেয়াল রাখেন তাহরে সেই মুরুগিও আপনাকে ডিম দিবে এবং সেই ডিম বিক্রয় করেও আপনি লাভবান হতে পারেন। মোটকথা, আপনি গ্রামে মাছ ও মুরগির ব্যবসা করেও লাভবান হতে পারবেন।
ধানের ব্যবসা: বর্তমানে প্রায়ই সকল মানুষই প্রতিদিন তিন বেলা করে ভাত খাই যার জন্য লাগে যথেষ্ট পরিমাণ ভালো চাল। আপনি যদি একজন কৃষক হন এবং আপনি গ্রামে বসবাস করেন তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার জমিতে উৎপন্ন চাল বিক্রয় করে অনেক লাভবান হতে পারবেন। আপনি যদি গ্রামে থাকেন এবং আপনার শহরে যাওয়ার পয়সা না থাকে তাহলে আপনি এই ব্যবসা করেও লাভবান হতে পারেন।
তবে খেয়াল রাখবেন আপনার ধানে যেনো কোনো ভেজাল না থাকে কেননা যদি আপনার ধানে ভেজাল থাকে তাহলে ক্রেতা আপনার কাছে থেকে ধান বা চাল ক্রয় করলে বুঝতে পারবেন এবং আপনার কেনা-বেঁচা কমে যাবে। তাই আপনি যদি ধানের ব্যবসা করে লাভবান হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সৎ এবং ধৈর্যশীল হতে হবে। আর এই শর্ত শুধু এই ক্ষেত্রে নয় দুনিয়ার সকল ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে সৎ এবং ধৈর্যশীল হতে হবে।
চা-সিঙ্গারার ব্যবসা: আগে গ্রামের বয়স্ক এবং যুবক সকলেই একটা স্টলে বসতো এবং আড্ডা এবং বর্তমানেও এই প্রথা চালু রয়েছে। আগের মতো এখনও গ্রামের বাচ্চা, যুবক এবং মোরব্বিরা একটা নির্দিষ্ট স্টলে আসে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য এবং তারা স্টলে বসে চা, বিস্কুট, সিঙ্গারা ইত্যাদি খেয়ে থাকে এবং মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে। যদি সেই স্টলটি যদি আপনার হয় তাহলে অবশ্যই আপনার কেনা-বেঁচা ভালো হবে।
অর্থাৎ যদি আপনি আপনার গ্রামে একটি স্টল খুলেন এবং সেখানে বিভিন্ন প্রকার বিস্কুট, চা, পিয়াজি, সিঙ্গারা ইত্যাদি রাখেন তাহলে অবশ্যই আপনার স্টলেও কোনো না কোনো মানুষ আসবে আড্ডা দেওয়ার জন্য। আর তারা যদি আড্ডা দেয় তাহলে অবশ্যই তারা আনার স্টলে কিছু না কিছু অবশ্যই খাবে। তাহলে বলা যায় যে, আপনি যদি আপনার গ্রামে একটি স্টল তৈরী করতে পারেন তাহলে আপনি অবশ্যই লাভবান হতে পারবেন।
উপরে বর্ণিত এই সকল উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই আপনার গ্রামে থেকে ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন। তাছাড়া গ্রামে থেকে কিংবা শহরে থেকে আপনি যেকোনো জায়গা থেকে এই ব্যবসাগুলো করতে পারবেন আর এই ব্যবসা গুলোও বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ১০টি ব্যবসার মধ্যে একটি ধরা যায়।
জুতা তৈরী করে লাভজনক ব্যবসা করার উপায়
বর্তমানে এই ডিজিটাল যুগে মানুষ সবকিছু ডিজিটাল বা এট্রাক্টিভ যেগুলো সেগুলো ব্যবহার করতে পছন্দ করে তার মধ্যে রয়েছে আপনার পায়ে পড়া জুতা। হ্যাঁ, বর্তমানে মানুষ খুব সুন্দর এবং এট্রাক্টিব জুতা পড়তে পছন্দ করে। আপনি চাইলে আপনার দক্ষতা প্রকাশ করে অর্থাৎ আপনার দক্ষতা দিয়ে জুতা সুন্দর করে বানিয়ে সেটি বিক্রয় করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন অর্থাৎ আপনি জুতার ব্যবসা করেও লাভবান হতে পারেন।
আপনি যদি সৎ ভাবে এবং মনোযোগ সহকারে একটি জুতা বানাতে পারেন যেরকম জুতা ক্রেতাদের পছন্দ হবে সেরকম তারপরে আপনি যদি আপনার বানানো সেই জুতার একটি নির্দিষ্ট ব্র্যন্ড দিতে পারেন এবং সেটি যদি ক্রেতাদের পছন্দ হয় তাহলে আপনি এই জুতা ব্যবসা শুরু করে অনেক লাভবান হতে পারবেন। তাই অবশ্যই আপনার এর জন্য একটু অভিজ্ঞতার দরকার হবে। তাহলেই আপনি জুতা ব্যবসাই অনেক লাভবান হতে পারবেন।
কোর্স বিক্রয়ের মাধ্যমে লাভজনক ব্যবসা
আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হন, শিক্ষক হন, ইন্জ্ঞিনিয়ার হন, মোবাইল সার্ভিসার হন কিংবা পল্লি চিকিৎসক হন আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয়ে আপনি চাইলে কোর্স বিক্রি করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং লাভজনক হতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়ে অন্যান্য মানুষকে শিক্ষা দিয়ে তার পারশ্রমিক হিসেবে প্রথমেই ৬ মাসের একটা প্যাকেজ বানিয়ে সেই ৬ মাসের টাকা নিয়ে নেওয়া।
যদি আপনি এরকম করেন সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যেনো মাসিক বেতনের থেকে ৬ মাসের কোর্সের টাকা তুলনামূলক গড়ে একটু কম হয় অর্থাৎ যদি আপনি তাদের কাছে থেকে মাসে ১৫০০ টাকা নেন তাহলে ৬ মাসে হয় ৯০০০ টাকা সেক্ষেত্রে আপনি ৬ মাসে ৯০০০ টাকা না নিয়ে ৬০০০-৮০০০ টাকার মতো নেন তাহলে গড়ে মাসিক বেতন একটু কমে গেলো এবং ৬ মাসের এই টাকা আপনি একবারে পেয়ে গেলেন।
তাহলে আপনি কোর্স বিক্রি করে কিভাবে লাভবান হবেন এবং কত টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন নিশ্চয়ই সে সম্পর্কে আপনার একটা ধারণা হয়ে গেছে। আশা করছি আপনারা এটাও বুঝতে পেরেছেন যে বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ১০টি ব্যবসার মধ্যে কোর্স বিক্রি করাও একটি লাভজনক ব্যবসা। যা করে আপনি লাভবান হতে পারবেন তার সাথে সাথে অনেক সম্মনও পাবেন।
পুরাতন ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় করে লাভজনক ব্যবসা
বর্তমানে মানুষ খুবই গভীরভাবে টেকনোলজির উপর নির্ভরশীল। তারা যদি কোন কাজ করে বা করতে চায় তার আগে অবশ্যই অনলাইন থেকে জেনে নেয় সেই কাজটা তার জন্য ভালো হবে কিনা বা কোন কাজটা তার জন্য ভালো হবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি গুগলে সার্চ দিয়েছেন বা খুজছেন "বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ১০টি ব্যবসা" এই সম্পর্কে জানার জন্য কেননা আপনি এখন একটা ব্যবসা করতে চাচ্ছেন।
আপনার জন্য কোন ব্যবসাটা সহজ হবে, কোন ব্যবসাটা আপনার জন্য ভালো হবে সে সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে তার জন্য আপনি অনলাইনে সার্চ দিয়েছেন "বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ১০টি ব্যবসা" সম্পর্কে এবং আমাদের এই পোস্টটি পড়ছেন। ঠিক একইভাবে মানুষ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে বা তথ্য আদান-প্রদান করে এই টেকনোলজির মাধ্যমে যার জন্য তাদের ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইলের দরকার হয়।
কিন্তু সবাই নতুন ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইল ক্রয় করতে পারে না, সেই ক্ষেত্রে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে আপনি পুরাতন ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইল ক্রয় করে নতুন ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে কম দামে বিক্রয় করে লাভবান হতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে পুরাতন ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইলটির যদি কোথাও কোনো সমস্যা থাকে তাহলে আপনাকে সেই সমস্যাটি ঠিক করতে হবে।
তারপরে সেটা দেখতে যেন নতুনের মত লাগে সেরকম করে মডিফাই করতে হবে কিন্তু সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন আপনি যেন মিথ্যা কথা বলে পুরাতন ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইল বিক্রয় না করেন। যদি আপনি মিথ্যা কথা বলে পুরাতন ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইল বিক্রয় করেন তাহলে আপনি এখানে কখনোই লাভবান হতে পারবেন না। তাই অবশ্যই যেকোনো ব্যবসা করতে হলে আপনাকে সৎ ভাবে করতে হবে।
যদি আপনি সৎ ভাবে ব্যবসা করতে না পারেন তাহলে আপনি কখনোই এই ব্যবসাই সফলতা অর্জন করতে পারবেন না বা লাভবান হতে পারবেন না। তাই আপনি সৎভাবে এই ব্যবসাটি করবেন তাহলে আপনি এখান থেকে অবশ্যই লাভবান হতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে, কিভাবে পুরাতন ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় করে আপনি লাভবান হবেন। আর এটিও বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ১০ টি ব্যবসার মধ্যে একটি ব্যবসা।
ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা। সবচেয়ে লাভজনক ১০টি ব্যবসার মধ্যে একটি
বর্তমানে মানুষ টেকনোলজির মাধ্যমে অনেক কিছু জেনে যাই কিন্তু তবুও এমন অনেক বিষয় আছে যা নিজে না দেখলে জানা যাই না বা বিশ্বাস করা যাই না। সে সকল বিষয় সম্পর্কেও মানুষ জানতে চাই এবং দেখতে চাই আসলেই কি সেই বিষয়টি সত্য নাকি মিথ্যা। এই জন্যই মানুষ এখনো প্রচুর ট্রাভেল করে বিভিন্ন প্রকার তথ্য জানার জন্য, জ্ঞান অর্জন করার জন্য। তাছাড়া প্রচুর মানুষ এখনো ট্রাভেলিং করতে পছন্দ করে।
বাংলাদেশে অধিকাংশ ব্যক্তিই ঘোড়াঘুড়ি করতে খুব পছন্দ করে, আপনি যদি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে একটি ট্রাভেল এজেন্সি খুলেন এবং প্রথম প্রথম অন্যান্য ট্রাভেল এজেন্সির থেকে কম টাকায় মানুষজনদেরকে ট্রাভেল করান এবং সার্ভিস যদি সারাজীবন ভালো দেন তাহলে পরবর্তীতে তারা যখনই কোথাও ট্রাভেল করতে যাবে তখন অবশ্যই আপনার ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে যাবে এবং অন্যান্যদেরকেও যেতে বলবে।
কারণ তারা খুব ভালো করে জানে যে, তারা যদি ট্রাভেল করে আপনার এজেন্সির মাধ্যমে তাহলে আপনারা তাদেরকে খুব ভালো সার্ভিস দিবেন। তাই আপনি যদি একটি ট্রাভেল এজেন্সী খুলেন এবং সেখানে যাত্রীদেরকে সুন্দর সার্ভিস দিতে পারেন তাহলে আপনি এই ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা থেকে অনেক লাভবান হতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে, ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করে আপনি কিভাবে লাভবান হবেন।
কাপড় বানিয়ে ও ক্রয়-বিক্রয় করে লাভজনক ব্যবসা করার উপায়
বর্তমানে মানুষের মৌলিক চাহিদা হিসেবে রয়েছে জামা-কাপড়ও। মানুষ বর্তমানে বিভিন্ন রকমের, বিভিন্ন স্টাইলের দেখতে জামা-কাপড় পড়তে পছন্দ করে। আপনি চাইলে তাদের পছন্দের ডিজাইনের জামা-কাপড় বানিয়ে বিভিন্ন দোকান ঘরে বিক্রয় করে, বাড়িতে বাড়িতে বিক্রয় করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনাকে জামা-কাপড়ের ডিজাইন এমনভাবে বানাতে হবে যেনো বেশি থেকে বেশি মানুষ আপনার বানানো জামা-কাপড় পছন্দ করে।
যদি মানুষ আপনার বানানো জামা-কাপড় বেশি পছন্দ করে এবং আপনার বানানো জামা-কাপড় বেশি দামে এবং বেশি পরিমানে বিক্রয় হয় তাহলে আপনার কাছে থেকে বিভিন্ন দোকান জামা-কাপড়তো কিনবেই তার সাথে সাথে বড় বড় কম্পানিও নিজ থেকে আপনাকে নিয়োগ দিয়ে আপনার কাছে থেকে কাজ করিয়ে নিবে এবং আপনাকে অনেক ভালো এবং বড় এমাউন্টের টাকা দিতে পারে যা আপনার পারমানেন্টও হতে পারে।
তাছাড়া আপনি যদি দূরের কোন জায়গা থেকে যদি কাপড় কিনে আনেন তাহলে আপনি কম দামে কিনতে পারবেন যা আপনি আপনার শহরে বা গ্রামে সেই কাপড়টি বা জামাটি আপনি বেশি দামে বিক্রয় করতে পারবেন। যদি আপনি এরকম করেন তাহলে খেয়াল রাখবেন আপনার ধর্মের কোনো আদেশ-নিষেধ যেনো লঙ্ঘন না হয়। কেননা আমি এর আগেও বলেছি এবং পরেও বলবো আপনাকে ব্যবসা করতে হবে সৎ ভাবে।
কিন্তু আপনি যদি ১০০ টাকার কাপড় ১০০০ টাকায় বিক্রয় করেন তাহলে তো সেটা অবৈধ এর দিকে চলে যায় অর্থাৎ আপনি আপনার ধর্মের বিধান লঙ্ঘন করছেন তাই অবশ্য আপনি যেকোনো ব্যবসা করে সফলতা পাবেন যদি আপনি সৎ ভাবে কাজ করেন এবং সৎ ভাবে মানুষকে আপনার বানানো বা কেনা জামা-কাপড় বিক্রয় করেন। তাহলেই আপনি জামা-কাপড়ের ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন।
অর্থাৎ ধরেন আপনি রাজশাহীতে থাকেন কিন্তু আপনি কাপড় ক্রয় করার জন্য ঢাকায়
গেলেন এবং সেখান থেকে কিছু পাঞ্জাবি, পায়জামা বা থ্রিপিস কিনে আনলেন যেটা আপনি
আপনার শহরে অর্থাৎ রাজশাহীতে একটু বেশি দামে বিক্রয় করলেন যার ফলে আপনি লাভবান
হতে পারলেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে আপনি জামা কাপড় বানিয়ে ও
ক্রয়-বিক্রয় করে এই ব্যবসায় লাভবান হবেন।
মোবাইল সার্ভিসিং করে লাভজনক ব্যবসা করার উপায়
বর্তমানে প্রায় সকল মানুষের কাছেই মোবাইল ফোন রয়েছে এবং তারা সেটা ব্যবহারও
করে। বর্তমানে প্রায় সকল মানুষের কাছেই মোবাইল একটি জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক যন্ত্র
হয়ে গেছে। কেননা এই যন্ত্রটি মানুষ যেখানে সেখানে খুব সহজেই বহন করতে পারে এবং
বিভিন্ন প্রয়োজন অনুসারে তা ব্যবহারও করতে পারে। তাছাড়া মানুষ এই মোবাইল ফোনের
মাধ্যমে তার অজানা যেকোনো তথ্য খুব সহজেই জানতে পারে।
যে কোন প্রয়োজনে তারা খুব সহজেই যে কারো সাথে কথা বলতে পারে, লিখালিখি করতে পারে
আবার ভিডিও কলের মাধ্যমেও দূরে থাকার কোন ব্যক্তির সাথে অনায়াসে কথা বলতে পারে।
প্রত্যেক মানুষই এখন এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে, যেহেতু তারা মোবাইল ফোন ব্যবহার
করছে তাহলে অবশ্যই এই মোবাইল ফোন কখনো না কখনো বা কোন না কোন কারণবশত অবশ্যই নষ্ট
হবে।
আরো পড়ুন: মোবাইল থেকে টাকা আয় করুন খুব সহজে এই কাজগুলো করে
যদি আপনি এরকম সময় একটা মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান দেন তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন
কোন না কোন কাস্টমার আপনার দোকানে অবশ্যই যাবে তার মোবাইল ঠিক করাতে। আপনি যদি
তার মোবাইলটা ঠিক করিয়ে দেন এবং আপনার মোবাইল ঠিক করার প্রক্রিয়া যদি তার পছন্দ
হয় বা ভালো লাগে তাহলে সে অবশ্যই আরো মানুষকে আপনার দোকানে কথা বলবে এবং পরবর্তী
যে কোন সমস্যা হলে সে তার মোবাইল নিয়ে আপনার দোকানে আসবে।
কিন্তু তার জন্য অবশ্যই আপনাকে মোবাইল সম্পর্কে কিছু জ্ঞান থাকতে হবে এবং মোবাইল
সার্ভিসিং সম্পর্কেও কিছু জ্ঞান থাকতে হবে যেন আপনি মোবাইলটি সঠিকভাবে, সঠিক
প্রক্রিয়ায় সার্ভিস করতে পারেন এবং মানুষের মন জয় করতে পারেন। আশা করি বুঝতে
পেরেছেন যে কিভাবে মোবাইল সার্ভিসিং এর ব্যবসা করলে আপনি অবশ্যই মোবাইল সার্ভিসিং
এর দোকান দিয়ে সেখানে কাজ করে লাভবান হতে পারবেন।
খাবারের হোটেল বা রেস্টুরেন্ট করে লাভজনক ব্যবসা করার উপায়
বর্তমানে মানুষ বাসায় কষ্ট না করে বাহিরের খাবার খাওয়াতেই বেশি আরাম এবং মজা পাই। তারা যদি বাহিরে ঘুরতে যাই তখন তারা ঘরে ফিরে এসে খাবার বানিয়ে খেতে অলসতা বোধ করে তখন তারা একবারে বাহিরের হোটেল বা রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে আসে যেন তাদের বাসায় এসে খাবারের ঝামেলা না নিতে হয়। তাই আপনি চাইলে এই ব্যবসা করেও প্রচুর ইনকাম করতে পারেন এবং লাভবান হতে পারেন।
যদি আপনি একটি হোটল বা রেস্টুরেন্ট নির্মাণ করেন তাহলে অবশ্যই এমন জায়গায় আপনার হোটেল বা রেস্টুরেন্টটি নির্মাণ করবেন যেখানে মানুষের কোলাহল বেশি। কেননা যেখানে মানুষ বেশি সেখানে আপনি যে কোনো ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন। যদি আপনি আপনার হোটেল বা রেস্টুরেন্টে যথেষ্ট পরিমাণ খাবার এবং সেবা রাখতে পারেন তাহলে মানুষ অবশ্যই আপনার হোটেল বা রেস্টুরেন্টে আসবে।
কেননা বর্তমানে মানুষ বিভিন্ন ধরণের এবং বিভিন্ন রকমের আইটেমের খাবার খেতে পছন্দ করে। যদি আপনি আপনার হোটেল বা রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন আইটেমের খাবার রাখতে পারেন, খুব সুন্দর একটা পরিবেশ রাখতে পারেন, ভালো সেবার ব্যবস্থা করতে পারেন এবং আপনার হোটেল বা রেস্টুরেন্টে কি আছে সেটি প্রচার করা ক্যাপাসিটি রাখতে পারেন তাহলে ১০০% গ্যারান্টি আপনার রেস্টুরেন্ট বা হোটেলে গ্রাহক আসতে বাধ্য।
তবে খেয়াল রাখতে হবে আপনার হোটেল বা রেস্টুরেন্টের প্রত্যেকটা খাবার যেনো টাটকা এবং নির্ভেজাল হয় না হলে মানুষ আপনার রেস্টুরেন্ট বা হোটেলের খাবার পছন্দ করবে না এবং আপনি লাভবান হতে পারবেন না। যদি আপনি সঠিকভাবে এই ব্যবসাটি করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য একটি লাভবান ব্যবসা হবে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন যে, কি করলে আপনি একটি হোটেল বা রেস্টুরেন্ট দাঁড় করিয়ে লাভবান হতে পারবো।
অনলাইনে লাভজনক ব্যবসা করার উপায়
বর্তমানে মানুষ অবসর সময়, দরকারের সময় বা যেকোনো কাজের জন্য অনলাইন ব্যবহার করে। তারা বিনোদন, আনন্দ এবং তথ্য জানার জন্য এই অনলাইন ব্যবহার করে। আপনি কি জানেন এই অনলাইনের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকে জেনে নিন। বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্ম এবং উপায়ের মাধ্যমে আপনি যেকোনো ব্যবসা করতে পারেন।
আপনি চাইলে অনলাইনে ব্যবসা হিসেবে রিসেলিং করতে পারেন যার মাধ্যমে বর্তমানে মানুষ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্তও আয় করতে পারছে। আপনি যদি এই রিসেলিং করেন তাহলে আপনিও অবশ্যই লাভবান হতে পারবেন। তাছাড়া আপনি যে সকল কাজ অফলাইনে করেন যেমন, জামা-কাপড় বিক্রয় করা, খাবার বানিয়ে বিক্রয় করা, কোর্স বিক্রয় করা ইত্যাদি। এগুলো করে আপনি প্রচুর লাভবান হতে পারবেন অনলাইন থেকে।
তাছাড়া আপনি একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে সেই ওয়েবসাইট বেশি দামে বিক্রয় করেও প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন যা থেকে আপনি প্রচুর লাভবান হতে পারবেন। আবার আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার ব্যবস্থাও রয়েছে এই অনলাইনে। তাই আপনি যদি অনলাইনে ব্যবসা করে লাভবান হতে চান তাহলে খুব সহজেই হয়ে যেতে পারবেন। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ১০টি ব্যবসার মধ্যে অনলাইনে ব্যবসা সবথেকে ভালো।
বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করার উপায়
বর্তমানে যারা গরিব বা বেকার তারাও ব্যবসা করে টাকা ইনকাম করতে চাই কিন্তু তাদের কাছে কোনো টাকা পয়সা নাই ব্যবসা করার জন্য। যারা বুঝতে পারছেন না যে কোন ব্যবসা করলে আমি বিনা পুজিতে লাভবান হতে পারবো তারা আজকে এই টপিক এবং পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। আপনি যদি এই টপিকটি বা পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে আশা করছি বুঝতে পারবেন যে কোন ব্যবসা আপনি বিনা পুজিতে করতে পারবেন।
বর্তমানে বিনা পুজিতে করা যায় এরকম কোনো ব্যবসা খোঁজাতো মুশকিলের একটা কাজ কিন্তু আমি আপনাদের জন্য বিনা পুজিতে করা যায় এরকম কিছু ব্যবসা সম্পর্কে কথা বলবো যা শুনলে আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন ব্যবসা বিনা পুজিতে করা যায়। বিনা পুজিতে করা যায় এরকম কিছু ব্যবসার নাম উল্লেখ করা হলো:
মোবাইল সার্ভিসিং এর ব্যবসা: আপনি হয়তো উপরে পড়ে এসেছেন যে মোবাইল সার্ভিসিং করে কিভাবে আপনি লাভবান হবেন কিন্তু আপনি কি জানে আপনি এই মোবাইল সার্ভিসিং এর ব্যবসা বিনা পুজিতেও করতে পারেন। আপনি যদি বাসায় বসে থাকেন এবং আপনি মোবাইল সার্ভিসিং করতে পারেন তাহলে আপনি এই বিষয়টি সম্পর্কে সবাইকে জানান এবং তাদেরকে বলেন তারা যেনো তাদের মোবাইল নষ্ট হলে তার বাসায় নিয়ে আসে।
এভাবে বলতে বলতে অবশ্যই একদিন কেউ না কেউ আপনার বাসায় মোবাইল নিয়ে আসবে তার মোবাইল ঠিক করার জন্য। আপনি যদি তার মোবাইলটি ঠিক করে দিতে পারেন তাহলে সে অবশ্যই আপনাকে তার পারশ্রমিক দিবে। অর্থাৎ আপনি কোনো রকম খরচ ছাড়া বিনা পুজিতেই টাকা ইনকাম করে ফেললেন। তাহলে আপনি মোবাইল সার্ভিসিং এর ব্যবসাটি বিনা পুজিতে করতে পারেন এবং লাভবান হতে পারেন।
ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা: ইতো মধ্যে আপনারা ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা সম্পর্কেও জেনে গেছেন আপনি চাইলে এই ব্যবসাটিও বিনা পুজিতে করতে পারেন। এখন আপনি ভাবতে পারেন কিভাবে, তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক। যদি আপনি কষ্ট করে বাহিরে ঘুরে ঘুরে মানুষদেরকে জানান যে আপনি ট্রাভেলিং করান। তাহলে তারা জানতে চাইবে কোন বাসে বা ট্রেনে, তখন আপনি কি বলবেন আপনার মনে এই প্রশ্নটিও আসতে পারে।
ধরেন আপনি যদি কোনো ট্রাভেল এজেন্সিকে যেয়ে বলেন যে আপনি তাদেরকে গ্রাহক যোগার করে দিবেন তাহলে তারা আপনাকে মনে রাখবে এবং আপনি যত গ্রাহক নিয়ে আসতে পারবেন তার জন্য একটা পার্সেন্ট পাবেন তাদের কাছে থেকে এইভাবে আপনি ট্রাভেল করিয়ে লাভবান হতে পারেন। আশ করছি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে বিনা পুজিতে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা করে লাভবান হওয়া যায়।
অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা: বর্তমানে আপনি অনলাইনের মাধ্যমেও প্রচুর লাভবান হতে পারবেন যা আপনি ইতোমধ্যে পড়ে এসেছেন। আপনি চাইলে অনলাইনের ব্যবসাটিও বিনা পুজিতে করতে পারেন মার্কেটিং এর মাধ্যমে। অনলাইনে ব্যবসা সম্পর্কে উপরে পড়লে বুঝতেই পারবেন যে অনলাইন থেকে ব্যবসা করে কিভাবে লাভবান হতে পারবেন। আর এই অনলাইনের ব্যবসাটি আপনি সম্পূর্ণ বিনা পুজিতেও করতে পারবেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যাবসা কোনটি
এতকিছু পড়ার পরে আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে এর মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যাবসা কোনটি। এই প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক কারণ আপনি বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ১০টি ব্যবসা সম্পর্কে জেনেছেন এখন আপনাকে জানতে কোন ব্যবসা সবচেয়ে বেশি লাভজনক এবং কোন ব্যবসা করলে আপনি সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারবেন। তাহলে এই সম্পর্কেও একটু বলা যাক।
আমার মতে বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসাটি হচ্চে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা। কেননা আপনি এই ব্যবসার মধ্যে অল্প সময়ে সে সকল কাজগুলো করতে পারবেন যে কাজগুলো আপনি অফলাইনে বা বাহিরে ঘুরে ঘুরে করতেন। অর্থাৎ আপনি চাইলে এখানে যেকোনো ধরনের কাজ বাজে কোন ধরনের ব্যবসা অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই করতে পারেন এবং লাভবান হতে পারে।
আপনি যদি কোন জুতা তৈরি করেন তাহলে তার ছবি তুলে যেকোনো ওয়েবসাইটে গিয়ে সেই
জুতার ছবি আপলোড করে তার দাম, ডিসক্রিপশন এবং তার বিশেষত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত
লিখে সবার মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন, যার ফলে সবাই আপনার বানানো জুতা সম্পর্কে
জানতে পারবে এবং সেটা কিনার জন্য আপনাকে মেসেজ বা কল দিবে অর্থাৎ আপনি অনলাইনের
মাধ্যমে জুতার ব্যবসা করেও ইনকাম করতে পারবেন এবং লাভবান হতে পারবেন।
ঠিক একই ভাবে আপনি আপনার যে কোন ব্যবসা অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারেন এবং অনলাইনে
যে কাজগুলো করা যায় (যা ইতোমধ্যে আপনারা পড়ে এসেছেন) সে কাজগুলো বা ব্যবসাগুলো
করেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন বা লাভবান হতে পারবেন। তাই আমার মতে অনলাইনের
মাধ্যমে ব্যবসা করা বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে
বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি।
সবশেষে
আশা করছি আপনি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং নির্ধারণ করতে পেরেছেন যে আপনি কোন বিষয় নিয়ে ব্যবসা করবেন। যদি আপনি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ না পড়েন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন না যে কোন ব্যবসা আপনার জন্য সহজ হবে এবং কোন ব্যবসা থেকে আপনি বেশি লাভবান হতে পারবেন। তাই আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ না পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আসবেন।
যদি আপনি নির্ধারণ করতে পারেন যে কোন ব্যবসা আপনার জন্য ভালো তাহলে আপনি সেই ব্যবসাটি মনোযোগ দিয়ে করবেন এবং সৎ ভাবে করবেন। মানুষদেরকে কখনো ঠকাবেন না এবং আপনার ধর্মের নিয়মানুযায়ী আপনি ব্যবসা করবেন। আর এই পোস্টে যদি আমাদের কোনো ভুল হয়ে থাকে বা আপনার যদি কোনো পরামর্শ থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে সেই বিষয়ে অবগত করাবেন। ধন্যবাদ।
ইউনিক আইটি ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। কেননা কমেন্ট চেক করা হয়।
comment url