কোন ব্যবসায় লাভ বেশি হবে এরকম ১০টি ইউনিক ব্যবসা

কোন ব্যবসায় লাভ বেশি হবে এরকম ১০টি ইউনিক ব্যবসা করার টিপস আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তাই অবশ্যই আমাদের সাথে থাকুন সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন তাহলে জানতে পারবেন ১০টি ইউনিক ব্যবসা সম্পর্কে।

কোন ব্যবসায় লাভ বেশি হবে এরকম ১০টি ইউনিক ব্যবসা

বর্তমানে প্রায়ই অনেক মানুষই ব্যবসা করতে চাই কিন্তু বুঝতে পারেনা যে, তাদের জন্য কোন ব্যবসা ভালো হবে কিংবা সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কি। এরকম প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি আজকে আপনাদের কাছে ১০টি ইউনিক ব্যবসা করার টিপস নিয়ে চলে এসেছি আমার এই পোস্টে।

পোস্ট সূচিপত্র | কোন ব্যবসায় লাভ বেশি হবে

ব্যবসা সম্পর্কে কিছু কথা - ব্যবসা করার টিপস

বর্তমানে প্রায়ই বেশিরভাগ মানুষই চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করতে চাই কেননা এই ব্যবসা এমন একটি কাজ বা ইনকামের পথ যার মাধ্যমে মানুষ তার পছন্দ মতো এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে যার ফলে তার ইনকামও ভালো হতে পারে যদি তার কাজ করার টেকনিক ভালো হয়।

কাজ করার বুদ্ধি ভালো হয় অর্থাৎ যদি আপনি আপনার বুদ্ধি বের করে খারাপ কাজের মাধ্যমে ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনার ব্যবসা বেশিদিন টিকবে না, কিন্তু আপনি যদি আপনার বুদ্ধি সৎ কাজে ব্যবহার করেন ব্যবসায় লাভবান হওয়ার জন্য তাহলে আপনার ব্যবসায় উন্নতি অবশ্যই হবে।

অর্থাৎ আপনি আপনার সৎ বুদ্ধি, সৎ কাজ এবং কাস্টমারের সাথে ভালো আচরণের জন্য আপনি আপনার ব্যবসায় উন্নতি করতে পারবেন এবং আস্তে আস্তে আপনার ইনকামও বৃদ্ধি করতে পারবেন। তাছাড়া সৎ মানুষ হওয়ার পাশাপাশি আপনাকে আপনার ব্যবসায় অসাধারণ কিছু বিষয় নিয়ে আসতে হবে।

তাহলে দেখবেন আপনার ব্যবসা অন্যদের তুলনায় ভালো চলবে। তাছাড়া আপনি যখন কারো সাথে কোনো ডিল করবেন বা বড়, ছোট কোনো ধরণের অর্ডার নিবেন তখন সেক্ষেত্রে অবশ্যই চেক করে নিবেন যে, আপনি যাদের সাথে লেনদেন করছেন সেই লোকটি বা সেই কোম্পানিটি বিশ্বস্ত কিনা অর্থাৎ সেই নামের কোনো কোম্পানি আদৌ আছে কিনা।

ব্যবসায় ডিল করার ক্ষেত্রে আমার বাস্তব জীবনের উদাহরণ

কেননা, আমার জীবনে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিলো যা আমি আপনার সাথে এখন শেয়ার করবো। এই বিষয়টি ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করবেন এবং সতর্ক হবেন। আগে আমার পিতা একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি কম্পিউটারের ব্যবসা করতেন, আমিও তার দোকানে মাঝে মাঝে যেতাম ঘুরতে।

একদিন আমার পিতার কাছে এক দেশের নাম করে এক পার্টির ফোন আসে তারা বলে যে তাদের অনেক কয়েকটি ল্যাপটপ লাগবে (কয়টি ল্যাপটপের কথা বলেছিলো তা আমার এই মুহূর্তে মনে নেই), যার মূল্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মতো। আমার পিতা তাদের উপর বিশ্বাস করে তাদেরকে সত্য ভেবে ডিলটিতে রাজি হয়ে যান।

তারপরে তারা আমার পিতাকে বললো যে, সে (আমার পিতা) যেন ল্যাপটপগুলো কুরিয়ারে পাঠিয়ে দেই তারা ল্যাপটপ হাতে পাওয়ার পরে পেমেন্ট করে দিবে। কিন্তু তারা ল্যাপটপ হাতে পাওয়ার পরে আর যোগাযোগ করেনি এবং তাদের সাথে আর যোগাযোগ করা যায়নি।

এইভাবে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা বিভিন্ন দেশের নাম করে কিংবা বিভিন্ন দেশ থেকে ব্যবসায়ীদেরকে ফোন দিয়ে এইভাবে ঠকায় এবং মালগুলো হাতিয়ে নেই।তাই অবশ্যই ব্যবসা শুরু করার পরে ডিল করার সময় অবশ্যই আপনার চোখ-কান খোলা রাখবেন যেন না ঠকেন।

আর ব্যবসা শুরু করার পরে এরকম কোনো ডিল বা লেনদেন করার আগে অবশ্যই সেই কোম্পানি বা লোকদের ব্যাপারে খোঁজ নিবেন যে তারা আসলেই এই বিষয়ে কাজ করে কিনা বা তারা ট্রাস্টেড ডিলার কিনা। যদি তারা ট্রাস্টেড হয় তাহলে তাদের সাথে ডিল করবেন নাহলে করবেন না।

কোন ব্যবসায় লাভ বেশি হবে এরকম ১০টি ইউনিক ব্যবসা

এতক্ষণ আমরা ব্যবসা কিভাবে করতে হবে এবং ব্যবসায় ডিল করার সময় কিভাবে সতর্ক থাকতে সেই বিষয়ে আলোচনা করলাম। এখন আমরা আলোচনা করবো যে, কোন ব্যবসায় আপনি লাভ বেশি করতে পারবেন, জানতে হলে অবশ্যই আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন।

বর্তমানে প্রায়ই বেশিরভাগ মানুষই ব্যবসা করতে চাই বা ব্যবসা করতে পছন্দ করেন কারণ তারা জানেন এখানে তারা তাদের পছন্দ মতো এবং স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে পারবেন।কিন্তু তারা বুজতে পারেন না যে, কোন ব্যবসাটি তাদের জন্য করা ভালো হবে এবং কোন ব্যবসায় লাভ বেশি হবে তাদের।

যদি আপনিও তাদের মধ্যে একজন হন তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের এই পোস্টটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন কোন ব্যবসাটি করলে আপনি লাভ বেশি করতে পারবেন এবং আপনার জন্য সহজ হবে। তাই অবশ্যই আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

তবে হ্যাঁ, আপনাকে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে হলে বা লাভ করতে হলে অবশ্যই সৎ মনোভাব এবং চোখ-কান খোলা রেখে ব্যবসা করতে হবে। কেননা আপনি যদি অসৎ উপায় অবলম্বন করে ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনি বুঝতেই পারবেন না যে টাকা আসছে কোথা থেকে এবং খরচ হচ্ছে কোথা থেকে।

অর্থাৎ আপনা আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হবে এবং যদি আপনি চোখ-কান খোলা না রাখেন তাহলে আপনাকে ঠকানো খুব সহজ হয়ে যাবে এবং যে কারো কাছ থেকে ঠকে যাবেন। তাই আপনার জন্য আমার পরামর্শ থাকবে আপনি সৎ মনোভাব এবং চোখ-কান খোলা রেখে ব্যবসা করবেন।

আরো পড়ুন: ডেইলি ৫০০ টাকা ইনকাম করার ১১টি আধুনিক এবং কার্যকরী উপায়

কলমের ব্যবসা করে লাভবান

সেই আদি যুগ থেকে মানুষজন লেখালেখি করে আসছে। কাউকে চিঠি দেওয়ার ক্ষেত্রে, পড়াশোনর ক্ষেত্রে, পরীক্ষার ক্ষেত্রে ইত্যাদি বিষয়ের ক্ষেত্রে মানুষজন লেখালেখি করে আসছে, আর এই লেখালেখি করার জন্য প্রয়োজন হয় কলমের। আপনি চাইলে এই কলমের ব্যবসা করতে পারেন।

আপনি এই কলমের ব্যবসা শুধুমাত্র ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েই শুরু করতে পারেন এবং এখান থেকে লাভবান হতে পারেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে এই কলমের ব্যবসাটি করবো এবং লাভবান হবো, তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সম্পর্কে।

আপনি যদি ইউটিউবে সার্চ দেন "কলমের ব্যবসা" তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরণের ভিডিও পাবেন এই সম্পর্কে। আপনি যদি তার মধ্যে কোনো ভিডিও দেখেন তাহলে জানতে পারবেন কোন জায়গা থেকে পাইকারি মূল্যে কলম ক্রয় করা যায়।আপনি চাইলে তাদের কাছ থেকে কলম ক্রয় করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

বর্তমানে পাইকারি মূল্য অনুসারে কলম ৩ টাকা পিস এবং আপনি যদি এই কলম কিনতে চান পাইকারি মূল্যে তাহলে আপনাকে সর্বনিম্ন ৩০০০ পিস কলম কিনতে হবে। এখন আপনি ভাবেন আপনি যদি ৩ টাকা পিস দরে ৩০০০ পিস কলম কিনেন তাহলে আপনার লাগবে ৯০০০ টাকা এবং দোকানে দোকানে গিয়ে সেই কলম গুলো যদি ৩.৫০ টাকা বা ৩.৭০ টাকা দরে বিক্রয় করতে পারেন।

তাহলে আপনি ৩০০০ পিস কলমের পাবেন 10500 টাকা বা 11100 টাকা অর্থাৎ আপনি বুঝতে পারছেন এখানে আপনার লস নাই বরং লাভ আছে। কিন্তু আপনার যদি একটা দোকান থাকে তাহলে আপনি যদি সেই কলমগুলো ৫ টাকা দরে বিক্রয় করেন তাহলে আপনি পাবেন 15000 টাকা। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে আপনি কলমের ব্যবসা করতে পারবেন।

আবার আপনি চাইলে আপনার নামেও কলম বানাতে পারেন এবং বিক্রয় করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই একটি কলম বানানো মেশিন লাগবে যার মূল্য ১৫ হাজার টাকার মতো। এটা দিয়ে আপনার কলম বানাতে খরচ হবে প্রায়ই ১.৫০ টাকা থেকে ২ টাকার মতো অর্থাৎ মেশিন কিনে কলম বানানোর কাজ করলে আপনি বেশি লাভবান হবেন।

বাদাম এবং বারো ভাজার ব্যবসা করে লাভবান

মানুষ আগে থেকেই ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করে। আর এখনতো বড় বড় পার্ক, ঘুরাঘুরি করার জায়গা ইত্যাদি তৈরী হয়েছে আপনি চাইলে সেই ঘুরাঘুরি করার জায়গাগুলোতে বাদাম বা বারো ভাজা বিক্রয় করতে পারেন। কেননা মানুষ এখন ঘুরাঘুরি করতে করতে কিছু না কিছু খেতে পছন্দ করে।

আর বেশিরভাগ মানুষই বাদাম বা বারো ভাজা খেতে পছন্দ করে ঘুরাঘুরি করতে। আপনি যদি বাদামের সাথে সাথে বারো ভাজাও রাখেন তাহলে আপনি এখান থেকে প্রচুর লাভবান হতে পারবেন। কেননা মানুষ কিছু খাক আর না খাক বারো ভাজা নাহলে বাদাম অবশ্যই খাবে।

তাই বলছি আপনি যদি এই বাদাম এবং বারো ভাজার সমন্বয়ে একটি দোকান বা ভ্যান দিতে পারেন তাহরে আপনি খুব সহজেই এই বারো ভাজা এবং বাদামের সমন্বয়ে বানানো দোকান বা ভ্যান থেকে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং আপনি এখান থেকে লাভবান হতে পারবেন।

বার্গারের ব্যবসা করে লাভবান

বর্তমানে মানুষ ভালো খাবারের থেকে অর্থাৎ ভাত, ডিম, সবজি ইত্যাদি খাবারের থেকে বেশি ফাস্ট ফুডের খাবারই বেশি পছন্দ করেন তার মধ্যে সেরা খাবারটি হলো, পিজ্জা এবং বার্গার। এই দুই খাবার মানুষজন সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন কিন্তু এর ভিতরে আবার পিজ্জা জিনিসটা মানুষজন বেশি পছন্দ করেন।

কিন্তু পিজ্জাটা হয় একটু দামি যার ফলে সবাই এটা খেতে পারেনা। কিন্তু বার্গার জিনিসটা প্রায়ই সবাই পছন্দ করে এবং সবাই খেতেও পারে কেননা এটা দামি এবং কমদামি দুই ধরণেরই হয়। এই বার্গার আবার দুইভাবে বানানো যায় প্রথমটি হলো, দুইটি দামি বানের ভিতরে চিকেন, সস, একটু সবজি, মেউনিস ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরণের জিনিস দিয়ে বানায়।

বার্গারের ব্যবসা করে লাভবান

যার ফলে এই বার্গারটা একটু দামি হয় এবং এটা সবাই খেতেও পারেনা দামের জন্য। কিন্তু আরেক ধরণের বার্গার পাওয়া যায় যেটা মানুষ যেখানে সেখানে বানিয়ে বিক্রয় করে। আর সেটি বানাতে প্রয়োজন হয় ২টি নরমাল বান। এই বানের ভিতরে দেই সস, তেতুঁলের টক, মেউনিস, কাবাব এবং তার উপরে শসা দেই।

আর তারপরে বানের উপরে দেই মুরগির গোস্তের ঝোল তারপরে বার্গারটি গরম করে দেয়। আর এই বার্গারটি যেরকম দামে কম সেরকম অনেক সুস্বাদু হয়। আমার যতদূর ধারণা ঐ দামি বার্গারের থেকে এই ৩০ টাকা দামের বার্গার খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং মজাদার।

আর এই বার্গার মানুষ কম দামে বেশি করে কিনে খায়। আপনি যদি একটি ছোট হোটেল বা ভ্যানে এরকম বার্গার বানাতে পারেন এবং বিক্রয় করতে পারেন তাহলে আমার মনে হয় আপনার এই ব্যবসায় প্রচুর লাভ হতে পারে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে বার্গারের ব্যবসা করবেন এবং লাভবান হবেন।

টিশার্ট প্রিন্টের ব্যবসা করে লাভবান

বর্তমানে কোনো প্রতিযোগিতা হলে যদি কেউ জয় লাভ করে, কারো যদি কোনো কাজে ভালো পারফর্মেন্স থাকে, কোনো স্টুডেন্ট যদি ভালোভাবে স্কুলে-প্রাইভেটে ভালো পারফর্মেন্স দেখাতে পারে কিংবা কাউকে কোনো উপহার দেওয়ার হয়ে থাকে তাহলে বেশিরভাগ মানুষ, কোম্পানি কিংবা স্কুল-প্রতিষ্ঠান একটি করে টিশার্ট গিফট দিয়ে থাকেন।

আর সেই টিশার্টটি দেখতেও সুন্দর হয় এবং সেখানে তার নামও লিখা থাকে যার ফলে দেখতে অনেক ভালো লাগে। আর টিশার্ট উপহারে দেওয়া একটু বেশি পরিমাণেই হয়। তাই আপনি যদি টিশার্ট প্রিন্ট করা শিখে নিতে পারেন তাহলে আপনি এখান থেকে অবশ্যই লাভবান হতে পারবেন।

কেননা আপনি যদি টিশার্ট প্রিন্ট করতে পারেন এবং সেটা মানুষের যদি পছন্দ হয় তাহলে আপনি প্রায়ই প্রতিদিনই টিশার্টের অর্ডার পাবেন। কেননা প্রতিনিয়তই কোনো না কোনো ওয়েবসাইটের মালিক তার ইউজারদেরকে গিফট হিসেবে টিশার্ট দেয়, প্রাইভেটের ছাত্রদেরকে টিশার্ট দেয় কিংবা কোনো কর্মীকে তার বস টিশার্ট দেয়।

আর এই টিশার্টের উপর কোনো লোগো, নাম বা ডিজাইন প্রিন্ট করে দেয়। তাই বলছি আপনি যদি টিশার্ট প্রিন্ট করার ব্যবসা করেন তাহলে আপনি খুব সহজেই এখান থেকে লাভবান হতে পারবেন। আর এই ব্যবসায় আপনার লসও হবে না। আশ করি বুঝতে পেরেছেন যে কিজন্য আপনি টিশার্ট প্রিন্টের ব্যবসা করবেন।

আরো পড়ুন: ফ্রিতে টাকা ইনকাম - বিকাশে পেমেন্ট এরকম ৫ টি অসাধারণ সাইট

পুরাতন ইলেকট্রনিক্সের ব্যবসা করে লাভবান

দিন যত যাচ্ছে মানুষের ইলেকট্রনিক্স জিনিস তত বেশি প্রয়োজন পড়ছে যেমন: মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ওভেন, এসি, আইপিএস ইত্যাদি। আপনি যদি এগুলো নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পিছনে ঘুরে তাকাতে হবে না।

কেননা আপনি চাইলে এই পুরাতন জিনিসগুলো কম দামে কিনে সেগুলো নিজে বসে থেকে ঠিক করে যদি অন্যান্য দোকানে বা মানুষের কাছে বিক্রয় করতে পারেন তাহলে আপনি অবশ্যই লাভবান হতে পারবেন। আর এই ব্যবসা করতে আপনাকে বেশি টাক খরচও করতে হবে না।

কেননা আপনি আপনার ঘরে পুরাতন বা নষ্ট ইলেকট্রনিক্সের জিনিস নিয়ে সেগুলো ঠিক করে কিংবা কম দামে পুরাতন নষ্ট হওয়া ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল, ফ্যান ইত্যাদি ইলেকট্রনিক্স এর জিনিসপত্র কিনে নিয়ে সেগুলো ঠিক করে অন্যান্য দোকানে বা মানুষের কাছে সেগুলো বিক্রয় করে লাভবান হতে পারেন। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে পুরাতন ইলেকট্রনিক্স এর ব্যবসা করলে আপনার লাভ হবে।

রড-সিমেন্টের ব্যবসা করে লাভবান

বর্তমানে দেশের যেখানে সেখানে বাড়ি তৈরী হচ্ছে অর্থাৎ বর্তমানের প্রায়ই বেশিরভাগ মানুষই বাড়ি বানাচ্ছে এবং তা দেখে অন্যান্য মানুষেরও আগ্রহ বা ইচ্ছা হচ্ছে নিজের একটি বাড়ি বানানোর জন্য। তাই তাদের যত কষ্টই হোক না তারা বাড়ি বানাতে চাই এবং দিন যত যাবে বাড়ি বানানোর হার তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।

আর একটি বাড়ি বানাতে রড-সিমেন্ট লাগবেই। তাই আপনি চাইলে রড-সিমেন্ট এর একটি ব্যবসা করতে পারেন। কেননা আপনি যদি রড-সিমেন্ট এর ব্যবসা করতে লাগেন এবং একটিও অর্ডার যদি পান বাড়ি বানানোর তাহলে আপনি তাদের কাছে এই রড সিমেন্ট বিক্রয় করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন।

তবে হ্যাঁ আপনি অবশ্যই ভালো রড-সিমেন্ট এর ব্যবসা করবেন এবং সৎভাবে করবেন যেন আপনার রড-সিমেন্ট এর মাধ্যমে বাড়ি-ঘর অনেকদিন টিকে এবং আপনার রড-সিমেন্টের প্রশংসা হয়। তবেই আপনার কাছে থেকে অন্যান্য আরো মানুষজন রড-সিমেন্ট ক্রয় করবে।

যার ফলে আপনার আরো লাভ হবে। তাই বলছি আপনি যদি সৎভাবে এবং পরিশ্রম করে রড-সিমেন্ট এর ব্যবসাটি করতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন যে, কিভাবে রড-সিমেন্ট এর ব্যবসা করে আপনি লাভবান হতে পারবেন।

কোচিং সেন্টার এর ব্যবসা করে লাভবান

বর্তমানে পড়াশোনার নিয়মানুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যা শিখছে তা দেখে পরিবারের কোনো বাবা-মা সন্তুষ্ট নন। তাই জন্য তারা বাহিরে কোনো প্রাইভেটে বা কোচিং এ পড়াই যেন তারা স্কুলে যা শিখছে তার থেকে অধিক কিছু শিখে থাকতে পারে।

আর বর্তমানে এই কোচিং বা প্রাইভেটের বেতন কোর্স হিসেবে পরিবর্তন হয়ে গেছে। আপনি চাইলে এরকম একটি কোচিং সেন্টার খুলে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আপনার কোচিং এ ভর্তি করিয়ে তাদেরকে শিক্ষা দান করে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন এবং লাভবান হতে পারেন।

আর আপনি চাইলে ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকদের কাছ থেকে বেতন কোর্স হিসেবে বা মাসিকভাবেও নিতে পারেন। কিন্তু আপনি তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের ছেলে-মেয়েকে ভালোভাবে পড়াবেন না তা হবে না। যদি এরকমটি করেন তাহলে এই টাকাটি অসৎ পথের দিকে চলে যাবে।

আর আপনার ইনকামটি অসৎ পথের এই হিসেবে গণ্য হবে। তাই অবশ্যই আপনি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ভালোভাবে পড়াবেন তাহলে দেখবেন আপনার কোচিং আস্তে আস্তে বড় হয়ে উঠবে যার ফলে আপনার ইনকাম এবং লাভ দ্বিগুণ, তিনগুণ এমনকি পাঁচগুণও হয়ে যেতে পারে। আশ করছি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে কোচিং সেন্টার এর ব্যবসা করে লাভ করতে পারবেন।

সেলুনের ব্যবসা করে লাভবান

মানুষ অনেক আগে থেকেই চুল কেটে আসছে, কিন্তু বর্তমানে ছেলেরা তাদের চুল একটু স্টাইল করে সেলুন থেকে কেটে নেয়। যার ফলে টাকা একটু বেশি লাগে কিন্তু তবুও তারা স্টাইল করেই চুল কেটে নেয়। আপনি যদি এরকম স্টাইল করে মানুষের চুল কেটে দিতে পারেন।

তাহলে আপনি চাইলে একটি সেলুন খুলতে পারেন। কেননা গরম হোক কিংবা শীত হোক দিন যেরকমই হোক না কেন মানুষজন চুল অবশ্যই কাটবে। কেননা বর্তমানে মানুষ একটু ভাব নিয়ে চলতেই পছন্দ করে, তাই তারা বেশি টাকা দিয়ে স্টাইল করে চুল অবশ্যই কাটবে।

আর এজন্যই আমি বলছি যদি আপনি একটি সেলুনের ব্যবসা করতে পারেন অর্থাৎ একটি সেলুন খুলতে পারেন এবং মানুষের চুল সুন্দর করে ডিজাইন করতে পারেন অর্থাৎ স্টাইলিশ করে দিতে পারেন তাহলে আপনি সেলুন থেকে ভালোই ইনকাম করতে পারবেন এবং লাভবান হতে পারবেন।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে সেলুনের ব্যবসা করে আপনি লাভবান হতে পারবেন এবং প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে চলুন চলে যাওয়া যাক পরের টপিকে।

মেডিসিনের ব্যবসা করে লাভবান

বর্তমানে প্রায় বেশিরভাগ খাবার-দাবারেই মিশ্রণ শুরু হয়েছে অর্থাৎ বিভিন্ন ফলমূল, শাক-সবজি, গোশত ইত্যাদি কাঁচা এবং পাকা সকল খাদ্যেই ক্যামিকেল মেশানো শুরু হয়েছে। অর্থাৎ বিক্রেতারা বেশি লাভের জন্য বিভিন্ন ফল মূলে কেমিক্যাল সংযোগ করে।

যার ফলে এই ধরনের খাবার খেয়ে মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এই অসুস্থ থেকে মুক্তি পাওয়ার বা সুস্থ হওয়ার উপায় হল চিকিৎসা, আর চিকিৎসা করা মানে ওষুধ অবশ্যই লাগবে। আপনি যদি একটি মেডিসিনের দোকান বা ফার্মেসি খুলেন তাহলে আপনি অসুস্থ রোগীকে সুস্থ করার জন্য সঠিক ঔষধ বিক্রয়ের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

তবে অবশ্যই এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন যেন আপনার ভিতরে ঔষধের জ্ঞান থাকে অর্থাৎ কোন ওষুধ কোন রোগের জন্য সেটা আপনার জানা থাকে। কেননা আপনি যদি তা না জেনে ভুল ওষুধ দিয়ে দেন রোগীকে তাহলে আপনার ঔষধ খেয়ে রোগীর মৃত্যুবরণও হতে পারে।

তার সম্পূর্ণ দায় আপনার উপরে আসতে পারে এবং আপনার জেলও হতে পারে। তাই অবশ্যই আপনারা মেডিসিনের ব্যবসা করবেন ওষুধের ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করার পরে। আর আপনি যদি এখানে একবার সফলতা পেয়ে যান তাহলে আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

এই মেডিসিনের ব্যবসাটিও আপনি অবশ্যই সৎ ভাবে করবেন এবং মানুষজনকে ভুল ওষুধ দিবেন না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে মেডিসিনের ব্যবসা করে আপনি লাভবান হতে পারবেন এবং প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আবাসিক হোটেলের ব্যবসা করে লাভবান

বর্তমানে মানুষকে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া-আসা করতে হয় যেমন: নিজে বা তার পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে, বেড়াতে যেতে হলে, অফিসের কাজের জন্য হলে, শিক্ষা সফরের জন্য ইত্যাদি কারণে একজন ব্যক্তিকে বিভিন্ন জায়গায় সফর করতে হয়।

সেক্ষেত্রে অবশ্যই তার বিশ্রামেরও প্রয়োজন রয়েছে, আর এই বিশ্রাম করার জন্যই নিশ্চয়ই তারা কোন বাড়িতে বা কোন হোটেলে অবস্থান করবে। বেশিরভাগ মানুষ হোটেলে অবস্থান করে কেননা সেই জায়গায় তার পরিচিত বলে কেউ থাকেনা।

আপনি চাইলে সেই জায়গা গুলোতে একটি করে হোটেল তৈরি করতে পারেন যেখানে মানুষজন বেশি যায় যেমন: কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, পাহাড়পুর ইত্যাদি এরকম বিভিন্ন জায়গায় বা যেখানে মানুষজন বেশি যাওয়া আসা করে সেখানে আপনি চাইলে একটি আবাসিক হোটেল তৈরি করতে পারেন।

যেন মানুষজন সেখানে গিয়ে আপনার হোটেলে টাকা দিয়ে থাকতে পারে এবং আপনার লাভ হয়। তাই আমি বলব আপনি যদি আবাসিক হোটেল তৈরি করেন তাহলে আপনি এখান থেকেও লাভবান হতে পারবেন এবং প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে আবাসিক হোটেলের ব্যবসা করে লাভবান হবেন।

কোন ব্যবসায় লাভ বেশি হবে

আশা করছি আপনারা উপরে দেওয়া সকল উপায় মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন। আপনি উপরের সব কয়টি উপায় পড়ার পরেও যদি বুঝতে না পারেন যে, কোন ব্যবসায় লাভ বেশি হবে তাহলে এই টপিকটি অবশ্যই পড়বেন। কেননা আমরা এখানে সেই বিষয় না আলোচনা করব যে কোন ব্যবসাটি আপনার জন্য ভালো হবে এবং লাভবান হবে।

আমার মতে উপরে দেওয়া সকল বিষয়ের মধ্যে আপনি অনেক কয়েকটি করতে পারেন যেটা আপনার জন্য লাভবান হবে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে যে ব্যবসাটি পছন্দ করি সেই ব্যবসাটি আমি আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। আমি যা বলব সেটাই যে আপনাকে করতে হবে সেরকমটি নয়।

বরং আপনার যেই ব্যবসাটি সুবিধার মনে হবে এবং সহজ মনে হবে সেই ব্যবসাটিই আপনি করবেন, আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আমার মতে বা আমার ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী কলমের ব্যবসা, টিশার্ট প্রিন্টের ব্যবসা, বার্গারের ব্যবসা এবং মেডিসিনের ব্যবসাটি সবচেয়ে বেশি লাভজনক এবং সহজ।

তাই আমার কাছ থেকে যদি জানতে চান তাহলে আমি বলব আমার মতে এই কয়েকটি ব্যবসায় সবচেয়ে সহজ, কেননা কলমের ব্যবসা করে খুব দ্রুত সফলতা পাওয়া যেতে পারে যদি আমি একটু পরিশ্রম করি তাহলে। বিভিন্ন অনলাইন ইনকামের প্ল্যাটফর্ম ধরে রাখার জন্য সেখানকার এডমিনরা ইউজারদেরকে টি-শার্ট গিফট করে থাকে।

কোন ব্যবসায় লাভ বেশি হবে

আর সেই টি-শার্টে প্ল্যাটফর্মের নাম এবং ইউজারের নাম লেখা থাকে। আর এই কাজটি করা সহজ এবং প্রচুর লাভজনক বলেই আমার কাছে এই ব্যবসাটিও পছন্দের। বর্তমানে মানুষ ভালো খাবারের থেকে ফাস্টফুড এর খাবার খেতাব বেশি পছন্দ করে যার ফলে তারা যেখানেই বার্গার দেখতে পায় তারা কিনে খেয়ে নেই।

আর আমি যদি একটি ভ্যানে করে বার্গার বানিয়ে বিক্রি করতে পারে তাহলে অবশ্যই আমি লাভবান হতে পারব। তাই এই ব্যবসাটিও আমার কাছে সহজ, লাভজনক এবং পছন্দের। মেডিসিনের ব্যবসা করলে মানুষজন যেরকম অসুস্থ থেকে সুস্থ হয় অর্থাৎ মানুষের সাহায্য করা যায়।

তার সাথে সাথে সেখান থেকে টাকাও ইনকাম করা যায়। মেডিসিনের ব্যবসাটি কঠিন হলেও আমার কাছে এটি পছন্দের কেননা এর মাধ্যমে মানুষের সাহায্য করা যায় এবং তার সাথে সাথে ইনকামও করা যায়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে আমার মতে কোন ব্যবসাগুলো লাভজনক এবং সহজ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: আপনি ভাবতে পারেন যে, এই ব্যবসাগুলো একবারে নিম্ন শ্রেণির মানুষেরা করে। কিন্তু আসলে তা নয় মানুষ সৎ পথে ইনকামের জন্য সৎভাবে যেই কাজটি করে সেটিই সম্মানজনক কাজ। কোনো মানুষ যদি অসৎ উপায় অবলম্বন করে একটি কোম্পানি চালাই

আবার আরেকজন ব্যাক্তি যদি সৎভাবে রিকশা চালিয়ে ইনকাম করে, তাহলে আমি বলবো সেই কোম্পানি চালানো ব্যাক্তির থেকে রিকশা চালকই সম্মান জনক কাজ করছে এবং টাকা ইনকাম করছে। তাই যেই কাজই করেন না কেন  যদি সেটা সৎ হয় তাহলে আপনি সম্মানজনক কাজ করেই টাকা ইনকাম করছেন।

আরো পড়ুন: মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১০ টি গোপন টিপস

সবশেষে | কোন ব্যবসায় লাভ বেশি

আশা করছি উপরে বর্ণিত সকল বক্তব্য আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন যে আপনার জন্য কোন ব্যবসাটি সবচেয়ে বেশি ভালো হবে এবং লাভবান হবে। কিন্তু আপনি যেই ব্যবসাই করেন না কেন আপনাকে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটি হলো:

  • সততার সাথে সকল ব্যবসা করতে হবে
  • লোভ করা যাবে না কেননা "লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু"
  • চোখ-কান খোলা রাখতে হবে
  • ব্যবসার ক্ষেত্রে সঠিক জায়গা নির্বাচন করতে হবে
  • মানুষকে ঠকানো যাবে না

আশা করছি এই কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে আপনি ব্যবসা করবেন এবং সফলতা অর্জন করবেন। আমাদের এই পোস্টে যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই কমেন্টে বা যোগাযোগ পেইজের মাধ্যমে জানাবেন এবং কোনো পরামর্শ থাকলে আমদেরকে সেটিও জানাবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইউনিক আইটি ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। কেননা কমেন্ট চেক করা হয়।

comment url