মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১০ টি গোপন টিপস
আপনি কি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১০ টি গোপন টিপস সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক, তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য। তাছাড়া আমাদের এই পোস্টে আপনাকে কোটি টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কেও অবগত করানো হবে।
আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১০ টি গোপন টিপস সম্পর্কে এবং কোটি টাকা পর্যন্ত ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন যা আপনার উপকারে আসবে।
পোস্ট সূটিপত্র: মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১০ টি গোপন টিপস
- মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১০ টি গোপন টিপস সম্পর্কে জানুন
- ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় - অনলাইন ইনকামের উপায়
- ব্লগিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় - অনলাইন ইনকামের উপায়
- গ্রাফিক ডিজাইন করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় - অনলাইনে ইনকামের উপায়
- ইউটিউবের মাধ্যমে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় - অনলাইন ইনকামের উপায়
- রিসেলিং বা ড্রপ শিপিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় - অনলাইন ইনকামের উপায়
- কোচিং থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় - অফলাইন ইনকামের উপায়
- কসমেটিক্স এর ব্যবসা করে ৫০ হাজার টাকা আয় - অফলাইন ইনকামের উপায়
- মুদিখানার দোকান থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় - অফলাইন ইনকামের উপায়
- পাইকারি ব্যবসা করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় - অফলাইন ইনকামের উপায়
- মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় - অফলাইন ইনকামের উপায়
- কোটি টাকা আয় করার উপায়
- সবশেষে
মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১০ টি গোপন টিপস সম্পর্কে জানুন
মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা খুব একটা কঠিন বিষয় না কিন্তু এটা যে একদম পানির মতো সহজ সেরকমটিও না। হ্যাঁ, মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করাও খুব সহজ যদি আপনি এখানে একবার দক্ষ হয়ে যেতে পারেন। এখন আপনি হয়তো ভাবছেন যে, আমি মনে হয় পারবো না বা আমার দ্বারা সম্ভব না মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা। কি..তাই না, আসলে আপনার চিন্তাটা একটু ভুল অর্থাৎ আপনিও পারবেন মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে।
এটা ভুলবেন না যে উপরওয়ালা পৃথিবীতে সবচেয়ে দামি জিনিস হিসেবে বানিয়েছেন মানুষের ব্রেন। এই জন্যইতো মানুষ তার ব্রেন দিয়ে প্রচুর খারাপ কাজ করে আবার সেই খারাপ কাজ বা খারা চিন্তা-ভাবনা দূর করতে আসে ভালো মানুষ অর্থাৎ সেই ভালো মানুষ এসে খারাপ মানুষের চিন্তা মিটিয়ে দেই। তাছাড়া আপনি হয়তো জানেন যে, রবার্ট ব্রুস তার বিপরীত দলের সাথে যুদ্ধে বারা হেরে যাওয়ার ফলে তিনি গুহায় লুকিয়ে ছিলেন।
কিন্তু সেই গুহায় থাকা এক মাকড়সার চেষ্টা দেখে আবার চেষ্টা করলেন যুদ্ধে জয় হওয়ার এবং তিনি অবশেষে জয় হতে পেরেছেন। এই যে রবার্ট ব্রুস এখানে মাড়সাকে দেখে তার যুদ্ধের কথা ভেবেছেন এবং আবার চেষ্টা করেছেন কেনো? তিনি পারতেন না, মাকড়সার মতো চেষ্টা না করে লুকিয়ে থাকতে? তিনি কেনো এবং কিভাবে সেই মাকড়সার জ্বাল বুনা দেখে নিজের যুদ্ধের কথা ভাবতে পারলেন।
এটাই মানুষের ব্রেন এবং মানুষের বুদ্ধি। তাই বলছি আপনিও একজন মানুষ আপনিও পারবেন প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে। শুধুমাত্র আপনাকে একটু চেষ্টা করতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে এবং ধৈর্য্য ধরতে হবে। তাহলেই আপনি প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এখন আপনি ভাবতে পারেন কোন সেই উপায়গুলো, কি..তাই না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলো সম্পর্কে।
মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার জন্য দুইটি পথ রয়েছে একটি হলো অনলাইনের মাধ্যমে
ইনকাম করা এবং অপরটি হল অফলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করা। আপনি চাইলে অনলাইন কিংবা
অফলাইন যেকোনো একটা বা দুইটির মাধ্যমেই মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আমরা আজকের এই পোস্টে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১০ টি গোপন টিপসের মধ্যে
অনলাইন এবং অফলাইন ইনকামের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় - অনলাইন ইনকামের উপায়
বর্তমানে পুরা বিশ্বে সবচেয়ে পছন্দনীয় এবং লাভজনক ইনকামের বিষয়টি হল ফ্রিল্যান্সিং। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করে মানুষ ঘরে বসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারছে। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, আমি কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করবো কিংবা আমিতো ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়ে কিছুই জানিনা সেক্ষেত্রে আমি কি পারবো ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে?
আমি বলবো, হ্যাঁ আপনিও পারবেন ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৫০ হাজার কেনো তার বেশি টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে। কিন্তু তার জন্য অবশ্যই আপনার মনের ভিতরে প্রচুর ইচ্ছাশক্তি এবং একটু ধৈর্য্য থাকতে হবে। কেননা অনলাইনে যেকোনো ইনকাম করতে হলে অবশ্যই একটু ধৈর্য্য ধরতে হয়। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে তেমন কিছু না জানেন তাহলে গুগল থেকে বা ইউটিউব থেকে জেনে নিতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে।
ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি ২ ভাবে ইনকাম করতে পারেন একটি হলো প্যাসিভ ইনকাম এবং দ্বিতীয়টি হলো এক্টিভ ইনকাম। বর্তমানে বাজার মূল্য যেভাবে বাড়ছে মানুষজন এর দিকে তাকিয়ে বেশির ভাগ সময় এক্টিব ইনকামের দিকেই তাকায় কেননা এখানে কাজ করলে টাকা সাথে সাথে পাওয়া যায় আর যেহেতু প্যাসিভ ইনকামের মাধ্যমে টাকা আসতে একটু সময় লাগে তাই কেউ এটা সেরকমভাবে করতে চাইনা।
তবে আমি বলবো এক্টিভ ইনকামের থেকে প্যাসিভ ইনকাম সবচেয়ে বেশি ভালো কেননা আপনি চাইলে এখানে সারাজীবন কাজ না করেও ইনকাম পেতে পারেন তবে অবশ্যই তার জন্য আপনাকে প্রথমে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে এবং ধৈর্য্য ধরতে হবে। তবেই আপনি সফলভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন এবং প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত ইনকাম কেন কোটি টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
যদি আপনিও ফ্রিল্যান্সি করে এক্টিভ কিংবা প্যাসিভ ইনকাম করতে চা্ন তাহলে অবশ্য বাকি পোস্টটুকুও পড়বেন, কেননা এর মধ্যে বলে দেওয়া আছে এক্টিভ ও প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে।এখন নিশ্চয়ই আপনার এই বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানতে ইচ্ছা করছে কি তাই না। তাহলে চলুন ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে এক্টিভ ইনকাম এবং প্যাসিভ ইনকাম করা যায় সেই বিষয়ে একটু জেনে নেওয়া যাক।
ফ্রিল্যান্সিং করে এক্টিভ ইনকাম করার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং করে এক্টিভ ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানার পূর্বে আমাদের জেনে নেওয়া উচিত এক্টিভ ইনকাম কি সেই সম্পর্কে। এক্টিভ ইনকাম হলো এমন একটি ইনকাম ব্যবস্থা যার মাধ্যমে আপনি দিনের টাকা দিনে পেয়ে যাবেন অর্থাৎ আপনি যদি আজকে একটা কাজ করেন বা পোস্ট লিখেন তাহলে সেই পোস্ট লিখার জন্য নির্ধারিত টাকাটি আপনি আজকেই পেয়ে যাবেন। আর আপনি যদি কাজ না করেন তাহলে টাকা পাবেন না।
আশা করছি বুঝতে পেরেছেন যে এক্টিভ ইনকাম কি। এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক যে, ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে এক্টিভ ইনকাম করা যায়। বর্তমানে মানুষ বিভিন্ন কারণে যেমন, পরিবারের দূর্গতি দেখে, বাজার মূল্য বৃদ্ধির ফলে ইত্যাদি এরকম আরো বিভিন্ন কারণেই ফ্রিল্যান্সিং করে এক্টিভ ইনকাম করতে চাই। আপনিও চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে অ্যাক্টিভ ইনকাম করতে পারবেন এবং প্রতি মাসে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
বর্তমানে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং
করে এক্টিভ ইনকাম করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি যদি সেই ওয়েবসাইটে থাকা ব্যক্তিদের
কাছে আপনার লেখা পোস্ট, আপনার বানানো ছবি এবং আপনার এডিট করা ভিডিও সহজেই সেল
দিতে পারবেন কিংবা আপনি তাদের সাইটে পোস্ট লিখে এক্টিভ ইনকাম করতে পারবেন। তার
মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ওয়েবসাইটের নাম হল:
- fiverr
- upwork
- freelancer
উপরে বর্ণিত এই পাঁচটি ওয়েবসাইট সবচেয়ে জনপ্রিয়। আপনি চাইলে এই পাঁচটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি নিজের পোস্ট বিক্রয় করে বা তাদের ওয়েবসাইটে পোস্ট লিখে এক্টিভ ইনকাম করতে পারেন অর্থাৎ এই পাঁচটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে এক্টিভ ইনকাম করতে পারেন। আপনি এই ওয়েবসাইটগুলোতে যত বেশি ক্লায়েন্ট জোগাড় করতে পারবেন এবং তাদের কাজ যত বেশি করে দিতে পারবেন তারা আপনাকে তত বেশি টাকা দিবে।
ফ্রিল্যান্সিং করে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায়
বর্তমানে প্রচুর মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে অ্যাক্টিভ ইনকাম করলেও এমন অনেক মানুষ
আছে যারা ভবিষ্যতের চিন্তা ভাবনা করে। যার ফলে তারা ফ্রিল্যান্সিং করে প্যাসিভ
ইনকাম করার বিষয়ে সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানতে চাই। যদি আপনিও তাদের মধ্যে একজন হন
তাহলে অবশ্যই এই টপিকটি সম্পূর্ণ পড়বেন। তাহলে আশা করা যায় আপনি জানতে পারবেন
যে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই সবার প্রথমে আপনার যেটি
প্রয়োজন সেটি হচ্ছে আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট। হ্যাঁ, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং
করে প্যাসিভ ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার একটি নিজের ওয়েবসাইট প্রয়োজন
হবে। যার মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে কাজ না করেও ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়
করতে পারেন। কিভাবে চলুন সেটিও জেনে নেওয়া যাক।
বর্তমানে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যার মালিকরা প্রথমদিকে এমন ভাবে কাজ করেছে
যে, এখন তারা বসে থেকেই মাসে ৫০ হাজার টাকার উপরে পাচ্ছে। আপনিও পারবেন যদি আপনি
আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানেন
এবং আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে খুব সহজেই আপনি একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে
পারবেন এবং সেখানে আর্টিকেল লিখতে পারবেন।
আর্টিকেল লিখতে লিখতে যেদিন দেখবেন আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর আসছে সেদিন
আপনি গুগল এডসেন্স এপ্লাই করতে পারেন যার ফলে গুগল এডসেন্স আপনাকে যে এড গুলো
দিবে সে এড আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করতে পারবেন এবং সেই অ্যাডগুলো আপনার
ওয়েবসাইটে ব্যবহার করার ফলে যেই আপনার ওয়েবসাইটে আসুক না কেন আপনার যেকোনো
পোস্ট চালু করলে সবার প্রথমে গুগল অ্যাডসেন্সের অ্যাড দেখতে পাবে।
যার ফলে প্রতি মাসে গুগল এডসেন্স আপনাকে ডলার দিবে যেটা আপনি আপনার ব্যাংকের মাধ্যমে তুলে নিতে পারবেন। এখন সেটা আপনার পরিশ্রম পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে। আপনি প্রথমদিকে যত পরিশ্রম দিবেন আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরও তত বেশি আসবে এবং আপনি ততটাই দ্রুত এডসেন্স এপ্লাই করতে পারবেন। এডসেন্সে এপ্লাই করার পরেও আপনি যদি প্রচুর কাজ করেন এবং প্রচুর কন্টেন্ট লিখে রাখেন।
যার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর আসবে এবং আপনি পরবর্তীতে আরামে বসে থেকেই মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন যে ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১০ টি গোপন টিপস এর মধ্যে এই ফ্রিল্যান্সিং অন্যতম।
ব্লগিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় - অনলাইন ইনকামের উপায়
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর পরের ব্লগিং এর অবস্থান বলা যায়। কেননা বর্তমানে প্রচুর মানুষ ব্লগিং করে মাসে ৫০০০০ টাকা থেকে শুরু এক কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। আপনিও করতে পারবেন যদি আপনি একটু পরিশ্রম ও ধৈর্য দিতে পারেন। বর্তমানে যত দিন যাচ্ছে ব্লগিংয়ের প্রয়োজনীয়তা এবং পছন্দনীয়তা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি যদি ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই তার আগে জানতে হবে যে ব্লগিং কি?
ব্লগ হল এমন একটি ডাইরি বা খাতা যেখানে ব্লগার তার মনের ভাব, পরামর্শ বা অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে। যা পড়ে মানুষ উপকৃত হতে পারে। এই ব্লগিং করে প্রচুর মানুষ খুব সহজেই মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারছে। আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন যে ব্লগিং করে কিভাবে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়। এমন প্রচুর ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
তাছাড়াও আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ব্লগিং করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি নিজে
ওয়েব সাইটে ব্লগিং করতে পারেন তাহলে একসময় আপনি প্রতি মাসে ফিক্সড ইনকাম হিসেবে
৫০ হাজার টাকা করেও পেতে পারেন। আর যদি আপনারা এক্টিভ ইনকাম করতে চান তাহলে
পূর্বে যেই সাইটগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই সাইটগুলোতেই অন্যের ওয়েবসাইটে
ব্লগিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
তাহলে আপনি যদি ব্লগিং কিভাবে করতে হয় সেটি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে সেই বিষয়ে কোনো কোর্স করে নিবেন কিংবা আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমেও কোর্স করে নিতে পারেন। তাহলে আশ করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে, কিভাবে ব্লগিং করে আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১০ টি গোপন টিপস এর মধ্যে ব্লগিং করে আয় করা আপনার সবচেয়ে সহজ হতে পারে।
আরো পড়ুন: মোবাইল থেকে টাকা আয় করুন এই কাজগুলো করে
গ্রাফিক ডিজাইন করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় - অনলাইনে ইনকামের উপায়
আপনি যেই কাজই করেন না কেন আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রয়োজন হবে অর্থাৎ আপনি যদি
ব্লগিং করেন এবং সেখানে কোন ছবি যুক্ত করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে দেখতে
হবে যে, ছবিটা যেন মানুষের পছন্দ হয় সেইরকম করে আপনাকে ছবি খুঁজতে হবে বা বানাতে
হবে যার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন জানা খুব প্রয়োজন। তাছাড়া এমন অনেক ওয়েবসাইট
রয়েছে যেখানে ছবি কিনে নেয় তার ওয়েবসাইটে বা ইউটিউবে লাগানোর জন্য।
আপনি চাইলে তাদের কাছে আপনার বানানো ছবিটি বিক্রয় করেও প্রচুর টাকা ইনকাম করতে
পারেন। তাছাড়া আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে কোন পোস্ট লিখেন পোস্ট সেক্ষেত্রে
অবশ্যই আপনার পোস্টের একটি ফিচার ইমেজ প্রয়োজন হবে সেক্ষেত্রে আপনি আপনার
গ্রাফিক্স ডিজাইনের দক্ষতা থেকে একটি সুন্দর ছবি বানিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে
ব্যবহার করতে পারেন। যা দেখে অনেক ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে চলে আসবে।
উপরে উল্লেখিত ওয়েবসাইট গুলো অর্থাৎ fiverr, upwork, freelancer, facebook, linkedin এ সকল ওয়েবসাইটে আপনি চাইলে আপনার বানানো ছবিটি বিক্রয় করেও প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন। তাছাড়া গ্রাফিক্স ডিজাইন যারা থাকলে আপনি তাদের সাইটের ভিত্তিতে যেকোনো ছবি বানিয়ে খুব সহজেই মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে, কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
ইউটিউবের মাধ্যমে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় - অনলাইন ইনকামের উপায়
বর্তমানে প্রায়ই অধিকাংশ মানুষ ইউটিউবে ভিডিও দেখতে বেশি পছন্দ করে। তাই আপনি চাইলে সহজেই ইউটিউব এর মাধ্যমে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আপনার পছন্দের যেকোনো বিষয় সম্পর্কে কিংবা আপনার কোন ব্লগ বানিয়ে সেটা যদি ইউটিউবে আপনি ছেড়ে দেন এবং সেখানে যদি যথেষ্ট পরিমাণ সাবস্ক্রাইবার এবং ভিজিটর হয় তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্টটি মনিটাইজ করতে পারবেন।
মনিটাইজ করা সম্পূর্ণ হওয়ার পরে আপনি যদি কোন ভিডিও ছাড়েন কিংবা কেউ যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও গুলো দেখে তাহলে আপনি সেখান থেকে প্রতি মাসে ইনকাম পাবেন সেটা হতে পারে মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে ইউটিউব থেকে আপনি মাসে কত টাকা করে পাবেন সেটা আপনার পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে। আপনি ইউটিউবে যত বেশি ভিডিও ছাড়বেন মানুষ আপনার ভিডিও তত বেশি দেখবে এবং আপনার ইনকামও তত বেশি হবে।
অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রমের সাথে সাথে ধৈর্য ধরতে হবে ইউটিউব থেকে ইনকামের জন্য।
উপরে উল্লিখিত উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনি ইউটিউবের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৫০ হাজার
টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। যদি আপনি কষ্ট বেশি দিতে পারেন তাহলে আপনার পক্ষে
ইউটিউব থেকে মাসে কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করাও সম্ভব হবে।
রিসেলিং বা ড্রপ শিপিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় - অনলাইন ইনকামের উপায়
আপনি যদি ওয়েবসাইটে ব্লগিং তৈরি করেন এবং মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে
চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হিসেবে শুধু ডোমেন এবং হোস্টিং কিনতে হবে। কিন্তু আপনার
কাছে যদি এই ডোমেন এবং হোস্টিং কিনার মতোও টাকা না থাকে তাহলে আপনি ফ্রিতে
রিসেলিং বা ড্রপ শিপিং এর কাজ করে মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
এখন আপনি ভাবতে পারেন দুনিয়াতে ফ্রি বলে কিছু নাই অতএব এই কাজটাও ভূয়া।
আসলে সেরকম না, আপনি যদি একবার জানতে পারেন যে রিসেলিং বা ড্রপ শিপিং কিভাবে করে তাহলে আপনিও বুঝতে পারবেন যে, এই রিসেলিং বা ড্রপ শিপিং করে মাসে ৫০ হাজার নয় বরয় ৫০ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক রিসেলিং বা ড্রপ শিপিং সম্পর্কে। বর্তমানে এমন অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি খুব সহজেই রিসেলিং বা ড্রপ শিপিং করতে পারেন।
আপনি যে সকল ওয়েবসাইটে রিসেলিং বা ড্রপ শিপিং করতে পারবেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি রিসেলিং বা ড্রপ শিপিং করার জন্য ওয়েবসাইটের নাম হলো:
- Self
- Pathao
- Food Panda
- Reseller Bazar
- BDShop
- CheckBox
- Bbazar
- Kintachireseller
উপরে বর্ণিত এই সকল ওয়েবসাইটে আপনি চাইলে ফ্রিতে রিসেলিং বা ড্রপ শিপিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন, কিভাবে চলুন জেনে নেওয়া যাক। ধরুন, আপনি উপরে বর্ণিত ওয়েবসাইটগুলোর একটিতে রিসেলিং বা ড্রপ শিপিং এর কাজ করবেন এবং সেই সাইটটি হলো সেল্ফ। এখন আপনি সেল্ফ অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে ঢুকবেন এবং দেখবেন যে কোন প্রোডাক্ট দিয়ে আপনি রিসেলিং বা ড্রপ শিপিং করতে চাচ্ছেন।
রিসেলিং বা ড্রপ শিপিং করার সঠিক নিয়ম
ধরুন, আপনি কম্পিউটার নিয়ে রিসেলিং করতে চাচ্ছেন। এখন আপনি সেই কম্পিউটারের উপরে
একটা ক্লিক করবেন তারপরে সেখানে যে ছবি আছে সেই ছবি, সেখানে থাকার টাইটেল,
ডিসক্রিপশন বা সেই প্রোডাক্টটির ডিটেইলগুলো আপনি পড়ে নিলেন বা ডাউনলোড করে
নিলেন। এখন আপনার কাজ হবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ইউটিউব কিংবা আপনার নিজের
ওয়েবসাইটে সেই প্রোডাক্টটি আপলোড করা।
যার ফলে মানুষজন আপনার কাছ থেকে সেই প্রোডাক্টটি ক্রয় করে নিতে চায়। ধরুন সেই
প্রোডাক্টটি আপনি ফেসবুকে আপলোড করার ফলে ফেসবুক থেকে একজন আপনাকে মেসেজ দিয়েছে
সেই প্রোডাক্টটি ক্রয় করার জন্য। এখন আপনার করণীয় হল তাকে প্রোডাক্ট এর
সম্পর্কে বিস্তারিত বলা এবং এই প্রোডাক্টটি যে ওয়েবসাইট থেকে নিয়েছেন সেই
ওয়েবসাইটে যে দাম আছে তার থেকে একটু বেশি পরিমাণ দাম বৃদ্ধি করে বলা।
অর্থাৎ যদি এই ওয়েবসাইটে প্রোডাক্টটির মূল্য এক হাজার থাকে তাহলে আপনি সেই
ব্যক্তিটিকে (যে আপনাকে মেসেজ করেছে প্রোডাক্টটি ক্রয় করার জন্য) ৫০০ টাকা বাড়িয়ে
১৫০০ টাকা দিয়ে সেল দিতে পারেন। তারপরে আপনি সেই ব্যক্তিটির সমগ্র তথ্য জেনে নিন
যেন আপনি সেই ব্যক্তির কাছে সঠিক স্থানে তার পছন্দ করা প্রোডাক্টটি পৌঁছায় দিতে
পারেন। সেই তথ্যগুলো নেওয়ার পরে আপনি সেই সেল্ফ ওয়েব সাইটের ভেতর ফেরত যান।
তারপরে সেখানে টি গিয়ে প্রোডাক্টটি ক্রয় করার সময় সেখানে সেই ব্যক্তিটির তথ্যগুলো দিয়ে দিবেন যে ব্যক্তির তথ্যগুলো আপনি নিয়েছিলেন। তারপরে কনফার্ম করে দিলেই সেই প্রোডাক্টটি ঐ ব্যক্তির কাছে চলে যাবে। তারপরে সেই ব্যক্তি যখন ডেলিভারি বয় এর কাছে তার পেমেন্টটা দিয়ে দিবে তখন কোম্পানি দেখবে যে তার ওয়েবসাইটে দেওয়া দামের থেকে কত পরিমাণ টাকা বেশি পাওয়া গেছে।
যেই পরিমাণ টাকা বেশি গেছে কোম্পানি গেছে সেই কোম্পানি অর্থাৎ সেই প্ল্যাটফর্মটি বৃদ্ধি হওয়া সেই টাকাটি আপনার একাউন্টে যোগ করে দিবে। এইভাবে মূলত রিসেলিং বা ড্রপ শিপিং করে টাকা ইনকাম করা যায়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে, কিভাবে রিসেলিং বা ড্রপ শিপিং করে আপনি ফ্রিতে কোন টাকা ইনভেস্ট না করে সহজে মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
কোচিং থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় - অফলাইন ইনকামের উপায়
বর্তমানে কোচিং সেন্টার থেকেও প্রতি মাসে ৫0 হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। আপনি চাইলে নিজের কোচিং সেন্টার থেকেও প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। এখন আপনি ভাবতে পারেন যে কিভাবে কোচিং থেকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়, কি তাই না। তাহলে চলুন এই বিষয়টি সম্পর্কেও একটু বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
ধরুন, আপনি একটি কোচিং বানিয়েছেন যার নাম "ইউনিক কোচিং" এখন আপনি চাচ্ছেন যে আপনার এই কোচিং থেকে আপনি প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করবেন। তাহলে তার জন্য অবশ্যই আপনাকে ছাত্র এবং শিক্ষক জোগাড় করতে হবে। বর্তমানে কোচিংয়ে শিক্ষার্থীদের বেতন সাধারণত হয় ১০০০ টাকার মতো। আপনি যদি প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীকে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বেতন হিসেবে আপনার কোচিং এ ভর্তি হতে বলেন।
তাহলে না হলেও ৫০ থেকে ১০০ জন শিক্ষার্থী অবশ্যই আপনার কোচিং এ ভর্তি হবে। এখন যদি মিনিমাম ১০০ জন শিক্ষার্থীও আপনার কোচিংয়ে ভর্তি হয় তাহলেই দেখতে পাবেন আপনি খুব সহজেই প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারছেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে আপনি আপনার কোচিং থেকে প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত কিংবা তার বেশিও আয় করতে পারবেন।
কসমেটিক্স এর ব্যবসা করে ৫০ হাজার টাকা আয় - অফলাইন ইনকামের উপায়
কসমেটিকস মানুষকে সুন্দরে পরিণত করতে সাহায্য করে। এই কসমেটিক্স এর উপর সবচেয়ে
বেশি টান রয়েছে মেয়েদের। আপনি চাইলে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে কসমেটিক্সের ব্যবসা
করে প্রতি মাসে খুব সহজেই মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। তাছাড়া
আমরা জানি যে অন্যান্য জিনিসের তুলনায় কসমেটিক্সের জিনিসের দাম অনেক বেশি।
তাছাড়া আমরা এটাও জানি যে ভারতে কসমেটিকসের দাম কতটুকু কম।
আপনি চাইলে জিনিসপত্র ভারত থেকে নিয়ে এসে বাংলাদেশের বিক্রয় করতে পারেন কেননা ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে কসমেটিক্স এর দাম অনেক বেশি। আর যদি আপনি এই কাজটা করতে পারেন তাহলে আপনার পক্ষে সে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করা কোন ব্যাপারই না। তবে যা করবেন সব সময় সবকিছু ন্যায় পদ্ধতি অবলম্বন করে করবেন। তবেই আপনি আপনার কাজে সফলতা পাবেন।
আপনি যদি কসমেটিকসের দোকান খুলতে চান তাহলে অবশ্যই স্কুল-কলেজের পাশে খোলার
চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই কসমেটিক্সের ব্যবসা করে প্রতি মাসে ৫০,০০০
টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি যদি স্কুল-কলেজের পাশে এই
কসমেটিক্সের দোকান নাও করতে পারেন তাও কোন সমস্যা নাই, কেননা এই কসমেটিকসের
ব্যবসাটি সব জায়গাতে খুব ভালোই চলে।
তাই আপনি চাইলে এই কসমেটিকসের ব্যবসা করে খুব সহজেই মাসে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে কসমেটিক্স এর ব্যবসা করলে আপনি প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। যদি আপনি এই নিয়ম অনুযায়ী কসমেটিক্সের ব্যবসা করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১০ টি গোপন টিপস এর মধ্যে একটি হবে।
মুদিখানার দোকান থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় - অফলাইন ইনকামের উপায়
আপনি চাইলে মুদিখানার দোকান দিয়েও খুব সহজেই মাসে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে
পারেন। তার জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু টাকা খরচ করে একটি দোকান বানিয়ে ফেলতে হবে।
সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন আপনি যে জায়গায় দোকানটি বানাচ্ছেন সেই জায়গাযর
আশেপাশে যেন বড়লোক ঘরের মানুষেরাও থাকে। কেননা, চারিদিকে যদি গরিব মানুষ থাকে
তাহলে আপনার মুদিখানার দোকানটি ভালো চলবে না।
অবশ্যই আপনাকে এটা চেক করে নিতে হবে যে আশেপাশে বড়লোক ঘরের মানুষ থাকে কিনা।
দোকান করার পরেও এমন কিছু কারণ আছে যার জন্য আপনি আপনার দোকান থেকে মাসে ৫০,০০০
টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন না। তার মধ্যে অন্যতম কারণটি হল আপনার আচরণ। আপনি
যদি গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং তাদের সঙ্গে ভালো করে কথা না বলেন তাহলে
তারা কখনোই আপনার দোকানে আসবে না।
তখন আপনার কেনাবেচা কম হয়ে যাবে এবং আপনি এই ব্যবসায় লস খাবেন। তাই যদি আপনার মুদিখানার দোকান থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার আচার-ব্যবহার ভালো হতে হবে। যদি আপনি আপনার আচার ব্যবহার ভালো করতে পারেন তাহলে মুদিখানার দোকান থেকে ইনকাম করাটা হবে আপনার মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১০ টি গোপন টিপস এর মধ্যে একটি।
পাইকারি ব্যবসা করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় - অফলাইন ইনকামের উপায়
পাইকারি ব্যবসা সবচেয়ে লাভজনক একটি অফলাইন কাজ বা ব্যবসা যা করে আপনি খুব সহজেই মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে, কেননা এই ব্যবসায় আপনাকে প্রথমেই অনেক ধরনের বা অনেক জিনিস বা বস্তু কিনতে হতে পারে। তাই বলছি যদি আপনার প্রচুর টাকা থাকে তাহলে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন এবং প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
এই ব্যবসা করার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে কোন একটি বস্তু পাইকারি মরলে কিনতে হবে এবং সেই বস্তুটি আপনি চাইলে অন্যান্য দোকানে খুরচা হিসাবে বিক্রয় করতে পারেন এবং এইভাবে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। এইভাবে আপনি পাইকারি ব্যবসাটি করতে পারেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে, কিভাবে আপনি পাইকারি ব্যবসা করে মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক ১০ টি ব্যবসা
মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় - অফলাইন ইনকামের উপায়
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সকল মানুষই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সেটা বাটন মোবাইল হোক
কিংবা টাচ মোবাইল। যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নিশ্চয়ই তাদের মোবাইল কখনো না
কখনো নষ্ট হয় বা অবশ্যই হবে। আর আপনি চাইলে মোবাইল সার্ভিস করে মাসে খুব
সহজেই ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। তবে আপনি যখন মোবাইল সার্ভিসিং এর
দোকানটি দিবেন তখন অবশ্যই যেখানে মানুষজন বেশি সেখানে দোকান দেওয়ার চেষ্টা
করবেন।
কেননা যেখানে মানুষজন বেশি সেখানে অবশ্যই মোবাইল ফোনের সংখ্যাও বেশি। আর যেখানে
মোবাইল ফোনের সংখ্যা বেশি সেখানে নিশ্চয় মোবাইলের সমস্যাটা বেশিই হবে। তাহলে
সেরকম জায়গাতে যদি আপনি আপনার মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান দেন তাহলে আপনি সেখান
থেকে খুব ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া এই দোকানে মোবাইল সার্ভিসিং
ছাড়াও মোবাইলের সাথে যুক্ত এরকম জিনিসপত্র রাখতে পারেন।
অর্থাৎ মোবাইলের চার্জার, ইয়ারফোন, ছোটো মোবাইল গুলোর ব্যাটারি, লাইট, টেবিল
ফ্যান ইত্যাদি আপনি রাখতে পারেন। কেননা মোবাইল সার্ভিসিং করার পাশাপাশি যখন আপনি
এগুলো রাখবেন তখন নিশ্চয় প্রতিদিন না হলেও দুই একদিন পরপর এই জিনিসগুলো অল্প
অল্প করে অবশ্যই বিক্রয় হবে। যার ফলে আপনি এখান থেকেও একটি লাভ পেলেন। আশা করি
বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা
পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
কোটি টাকা আয় করার উপায়
উপরে বর্ণিত সকল কাজ করে আপনি খুব সহজেই মাসে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে
পারবেন। কিন্তু আপনি কি জানেন উপরে এমন কিছু বিষয় বা টপিক সম্পর্কে আলোচনা করা
হয়েছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। যদি
সেগুলো না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই বাকি কথাগুলো পড়বেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে
কোন কাজগুলো করলে আপনি কোটি টাকা আয় করতে পারবেন।
উপরে বর্ণিত ফ্রীলান্সিং, ব্লগিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইউটিউবিং এবং রিসলিং করার মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। তাছাড়া উপরে বর্ণিত নিজের কোচিং সেন্টার থেকে, কসমেটিক্স এর ব্যবসা করে, পাইকারি ব্যবসা ইত্যাদি করে আপনি অফলাইন থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। আপনি চাইলে এ সকল বিষয়ে অবলম্বন করে সহজেই কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কি কি উপায় অবলম্বন করলে বা কোন কোন বিষয়ে জানা থাকলে বা ইনকাম করতে পারলে আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন এবং তার সাথে সাথে কোটি টাকা পর্যন্তও আয় করতে পারবেন। যদি আপনি এগুলো সঠিক নিয়মে করতে পারেন তাহলে এগুলো হতে পারে আপনার জন্য কোটি টাকা আয় করার উপায় এর মধ্যে অন্যতম।
সবশেষে
আশা করছি আপনি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে
পেরেছেন যে কোন ইনকামটা করলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে এবং কোন ইনকামটার
মাধ্যমে আপনি মাসে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। যদি এই পোস্টে এমন কোন
লাইন থাকে বা এমন কোন বিষয় থাকে যেটা আপনি বুঝতে পারছেন না সেই বিষয় সম্পর্কে
অবশ্যই আমাদেরকে অবগত করুন যোগাযোগ পেইজ বা কমেন্টের মাধ্যমে।
আর যদি এই পোস্টে কোন ভুল দেখতে পান তাহলে সেই ভুল সম্পর্কে অবগত করিয়ে দেওয়ার জন্য কিংবা কোন পরামর্শ থাকলে সে পরামর্শটি আমাদেরকে দেওয়ার জন্য কমেন্ট সেকশনের ব্যবহার করুন অথবা যোগাযোগ পেইজের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।ধন্যবাদ।
ইউনিক আইটি ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। কেননা কমেন্ট চেক করা হয়।
comment url