মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় - এর জন্য ৯টি গোপন টিপস

আজকে আমি মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় - এর জন্য ৯টি গোপন টিপস সম্পর্কে এবং মাসে ৫ লক্ষ টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় - এর জন্য ৯টি গোপন টিপস

আজকের এই পোস্টে এমন কিছু গোপন টিপস বলা হবে যা অবলম্বন করলে আপনি মাসে শুধু লাখ টাকা কেন ৫ লাখ টাকা পর্যন্তও আয় করতে পারবেন। তাই বলছি আমাদের সাথে থাকুন এবং সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়তে থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় - এর জন্য ৯টি গোপন টিপস

প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব

এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, সত্যিই কি মাত্র ৯টি উপায় অবলম্বন করে মাসে লাখ টাকা আয় করা যায় কিংবা এটা কি সত্যিই সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলবো হ্যাঁ সম্ভব, কেননা বর্তমানে দেশ এবং প্রযুক্তির অনেক উন্নতি হয়েছে যার ফলে মানুষ এই প্রযুক্তির লাভ উঠাচ্ছে।

অর্থাৎ এই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে মানুষ মাসে লক্ষ টাকা পর্যন্তও আয় করতে পারছে তাও আবার প্রতি মাসে। আবার কেউ কেউ এই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাসে না একদিনে পর্যন্ত লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। আর এটা সম্পূর্ণরুপে নির্ভর করে আপনার পরিশ্রমের উপরে।

আপনি কিংবা আমি যত বেশি পরিশ্রম দিবো আমার এবং আপনার ইনকাম তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। আর আজকে আমরা এই ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিভাবে মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারবো সেই সম্পর্কে জানতে পারবো। তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকুন এবং পড়তে থাকুন আমাদের এই পোস্টটি।

মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় - এর জন্য ৯টি গোপন টিপস

মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় - এর জন্য ৯টি গোপন টিপস আপনি যখনই এই কথাটি শুনছেন আপনার হয়তো অবাক লাগছে এবং আপনি খুব এক্সাইটমেন্টে আছেন মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় - এর জন্য ৯টি গোপন টিপস সম্পর্কে জানার জন্য। তাহলে চলুন ৯টি গোপন টিপস জানার পূর্বে কিছু জেনে নেওয় যাক এই সম্পর্কে।

বর্তমানে মানুষজন অনলাইন থেকে বিভিন্ন ধরণের উপায়ের মাধ্যমে মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারছে এবং তারা ভবিষ্যতেও করবে। চাইলে আপনিও অনলাইন থেকে মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আর তার জন্য অবশ্যই সেই ৯টি বিশেষ উপায় জানতে হবে।

আর আজকে আমরা সেই গোপন ৯টি টিপস নিয়েই আলোচনা করবো যার মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে অনলাইন থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। তাহলে বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই গোপন ৯টি টিপস সম্পর্কে যার মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

আরো পড়ুন: মোবাইল থেকে টাকা আয় করুন খুব সহজে এই কাজগুলো করে

ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়

বর্তমানে মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় - এর জন্য ৯টি গোপন টিপস এর মধ্যে সবার উপরে আছে ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিংকে মূলত ইনকামের সাগর বা রাজা বলা হয়। কেননা, মানুষ এই ফ্রিল্যান্সিং করে এত পরিমাণ প্রফিট করছে যা বলার মতো না। আপনি চাইলে এই ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারেন।

বর্তমানে প্রায়ই সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, চাকুরিজীবি, ব্যাবসায়িক ইত্যাদি শ্রেণির মানুষজন এই ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করছে। যদি আপনিও প্রতি মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে চান তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে বড় ইনকামের টিপস হবে ফ্রিল্যান্সিং করা।

কেননা আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে খালি একটা উপায়ে না বরং বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করে মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আপনি নিজে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন, তার সাথে সাথে আপনি যে কাউকে এই ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে সেখান থেকেও প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আর যদি আপনি ভালো এই ফ্রিল্যান্সিং নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে লাখ টাকা না মাসে ৫ লাক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন। অর্থাৎ আপনি বলতে পারেন এই পোস্টটি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার সাথে সাথে মাসে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কেও নির্দেশ করবে।

আমার লিখা আরও ৮টি গোপন টিপস সম্পর্কে জানতে অবশ্যই বাকি পোস্টটুকু পড়বেন। তাহলে আপনি আরও এমন কিছু টিপস সম্পর্কে জানতে পারবেন যা অবলম্বন করলে আপনার লাইফ বদলে যেতে পারে। তাই বলছি অবশ্যই আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন।

আর্টিকেল লিখে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়

বর্তমানে আর্টিকেল রাইটিং নিয়ে মানুষ প্রচুর কাজ করছে এবং প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করছে। চাইলে আপনিও আর্টিকেল লিখে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আপনি চাইলে নিজের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে এডসেন্স থেকে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

তাছাড়া অন্যের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে আপনি চাইলে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। যদি আপনার লেখা আর্টিকেল কোন ব্যক্তির পছন্দ হয় তাহলে সে আপনাকে দিয়ে তার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখিয়ে প্রতি মাসে বেতন হিসেবে কিছু টাকা দিবে।

কত টাকা দিবে সেটা আপনার আর্টিকেল লিখার উপরে নির্ভর করবে। আপনি যত বেশি এবং যত ভালো আর্টিকেল লিখ বেন আপনার ইনকামও তত বেশি হবে। তাছাড়া অনলাইনে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনার লেখা আর্টিকেলটি আপনি খুব সহজেই বিক্রয় করতে পারেন।

তার মধ্যে খুব জনপ্রিয় কিছু সাইটগুলো হলো:

  • freelancer.com
  • fiverr.com
  • upwork.com
  • facebook.com

উপরে উল্লেখিত এই চারটা ওয়েবসাইট খুব জনপ্রিয় ওয়েবসাইট, এখানে আপনি চাইলে আপনার লেখা আর্টিকেলটি খুব সহজেই বিক্রয় করে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। আপনার লেখা আর্টিকেল যদি কারও পছন্দ হয় তাহলে সে তার সাইটে আপনাকে একজন আর্টিকেল রাইটার হিসেবে নিয়োগ দিতে পারে।

শুধু তাই নয় আপনি তার ওয়েব সাইটে আর্টিকেল লিখে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্তও আয় করতে পারবেন। এরকম করে যদি আপনি আরো তিন-চারজন ক্লায়েন্ট পান, তাহলে আপনি প্রতিদিন তাদের ওয়েবসাইটে একটি করেও যদি আর্টিকেল লিখেন।

তাহলে আপনি তাদের কাছে থেকে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আপনি যদি এই কাজটা ভালো করে করতে পারেন তাহলে এটা হতে পারে আপনার মাসে ৫ লক্ষ টাকা আয় করার উপায় এর মধ্যে একটি। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে আপনি আর্টিকেল লিখে প্রতি মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট বানিয়ে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়

বর্তমানে ওয়েবসাইট বানিয়েও আপনি প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক মানুষই এই কাজটি করছে শুধু তাই নয় এর মাধ্যমে তারা মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে, যদি আপনিও একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে সেটি সুন্দর করে ডিজাইন করতে পারেন।

তারপর আপনার বানানো সাইটটি যদি সেল করতে পারেন এবং আপনার বানানো ওয়েবসাইটটি যদি ক্লায়েন্টের পছন্দ হয় তাহলে এটা অনেক বেশি দামেও ক্লায়েন্ট কিনে নিতে রাজি হয়ে যায়। এইভাবে আপনি যদি নতুন ক্লাইন্ট জোগাড় করে নিতে পারেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

তার জন্য অবশ্যই আপনাকে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট বা ওয়েবসাইট ডিজাইন শিখতে হবে। তাছাড়া আপনি একটি ওয়েবসাইট কিনেও প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। কিভাবে.... চলুন জেনে নেওয়া যাক, ধরেন আপনি একজন ব্যক্তির কাছ থেকে একটি ওয়েবসাইট কিনেছেন।

যেই ওয়েবসাইটটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে এবং কুয়ালিটিও ভালো মনে হচ্ছে। এখন আপনি ওয়েবসাইটটি কিনে সেখানে প্রচুর কনটেন্ট লিখলেন এবং সে সাইট আরও সুন্দর করে তুললেন এডিটিং করে। এখন যদি আপনি ওয়েবসাইটটা কাউকে সেল দিতে চান তাহলে সে অবশ্যই আপনার থেকেও বেশি দামে কিনে নিবে।

ওয়েবসাইট বানিয়ে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়

কেননা আপনি ওই ওয়েবসাইটটি এডিটিং করে আরো অ্যাট্রাক্টিভ করেছেন এবং সেখানে প্রচুর কন্টেন্ট লিখে রেখেছেন যার ফলে, আপনার ওয়েবসাইট টি দেখার সাথে সাথেই আপনার ক্লায়েন্টের পছন্দ হয়ে গেছে এবং আপনার ওয়েবসাইট বেশি দামেও কিনে নিতে চাইছে।

তাছাড়া আপনি যদি সেই ওয়েবসাইটের প্রচুর কন্টেন্ট লিখেন এবং এত সুন্দর করে এডিটিং করেন যেন মানুষ দেখলে সেখানে ঢুকতে চাই তাহলে আপনি সেখান থেকে এডসেন্সের মাধ্যমে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

যদি আপনি এই কাজটি ভালো করে করতে পারেন তাহলে আমি বলবো এটিও আপনার জন্য মাসে ৫ লক্ষ টাকা আয় করার উপায় এর মধ্যে একটি অন্যতম টিপস হিসেবে গণনা হবে।

ছবি বানিয়ে বা ছবি ডিজাইন করে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়

আপনি চাইলে একটি ছবি বানিয়ে কিংবা ছবি ডিজাইন করেও প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। বর্তমানে অনেক মানুষের তাদের ওয়েবসাইটের জন্য কিংবা ইউটিউব চ্যানেলের জন্য কিংবা ফেসবুক গ্রুপ বা টেলিগ্রাম চ্যানেলের জন্য একটা সুন্দর এবং পারফেক্ট লোগো দরকার হয়।

যা তারা অনলাইন থেকে খুঁজে পায়না এবং তারা নিজেরাও সেই লোগো বানাতে পারে না। আপনি যদি তাদেরকে একটা সুন্দর এবং পারফেক্ট লোগো তৈরী করে দিতে পারেন তাহলে তারা আপনাকে অনেক টাকা দিবে আপনার একটা লোগো বানানোর জন্য।

এমনকি একটা লোগো বানানোর জন্য আপনি ৫০,০০০ টাকা পর্যন্তও পেতে পারেন যদি আপনার লোগোটা খুব সুন্দর এবং অ্যাট্রাক্টিভ হয়, আপনার অবিশ্বাস হলেও এটাই বাস্তবতা এবং সত্য। তাহলে একবার ভাবেন যে, আপনি যদি দিনে দুই তিনটা ছবি কাস্টমাইজ করেন কিংবা তৈরী করেন।

তাহলে আপনার পক্ষে মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা কোনো ব্যাপারই না। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে, কিভাবে আপনি ছবি বানিয়ে বা ছবি ডিজাইন করে প্রতি মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আর এটা মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় - এর জন্য ৯টি গোপন টিপস এর মধ্যে অন্যতম।

অনলাইনে প্রাইভেট পড়িয়ে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়

বর্তমানে এমন অনেক স্টুডেন্ট আছে যারা বাহিরে গিয়ে পড়তে অসুবিধা বোধ করে সেক্ষেত্রে তারা বাসায় একটা ভালো শিক্ষক চাই। কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছে যারা স্টুডেন্ট পড়াতে চায় কিন্তু তারা দেশ থেকে দূরে থাকার জন্য তারা স্টুডেন্টকে বাসায় গিয়ে পড়াতে পারে না।

কিন্তু বর্তমানে তারা চাইলে খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে দূরে থাকা স্টুডেন্টকে খুব সহজেই শিক্ষা দান করতে পারে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে কিভাবে একটা স্টুডেন্টকে অনলাইনের মাধ্যমে পড়ানো সম্ভব... কি তাই না? তাহলে চলুন এই সম্পর্কেও একটু জেনে নেওয়া যাক।

বর্তমানে অনলাইনে এমন অনেক ওয়েবসাইট এবং এমন অনেক অ্যাপস রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে ভিডিও কলের মাধ্যমে কিংবা অডিও কলের মাধ্যমে যে কাউকে শিক্ষা দান করাতে পারেন কিংবা পড়াতে পারবেন। অর্থাৎ সে সকল ওয়েবসাইট বা এপ্স এর মাধ্যমে আপনি বাসায় বসে থেকে খুব সহজেই অন্য একজন স্টুডেন্টকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন।

এর মাধ্যমে আপনার কষ্টটাও কম হলো, অনেক দূর থেকে একজন স্টুডেন্টের বাসায় যাওয়ার খরচটাও বেঁচে গেল এবং তার সাথে সাথে সেই স্টুডেন্টের বাসায় বসে থেকে প্রাইভেট পড়ার ইচ্ছাটাও পূরণ হলো। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, কোন ওয়েবসাইট বা এপ্স এর মাধ্যমে আমি ক্লাস করাবো বা প্রাইভেট পড়াবো.. কি তাই না? তাহলে চলুন এই সম্পর্কেও একটু জেনে নেওয়া যাক।

এমন অনেক ওয়েবসাইট বা অ্যাপস রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই একাধিক স্টুডেন্টকে একসাথে পড়াতে পারবেন স্কুলের ক্লাসের মতো। সেই ওয়েবসাইট বা অ্যাপস গুলোর নাম হল:

  • জুম
  • গুগল মিট
  • ডিসকোর্ড
  • টেলিগ্রাম
  • মেসেঞ্জার
  • হোয়াটসঅ্যাপ

উপরে বর্ণিত এই কয়েকটি অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনি আপনার শিক্ষার্থীদের কে খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন। তবে জুম, গুগলমিট এবং ডিসকোর্ড এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই একাধিক শিক্ষার্থীদেরকে পড়াতে পারবেন স্ক্রিন শেয়ারের মাধ্যমে।

তাছাড়া টেলিগ্রামের মাধ্যমে একাধিক শিক্ষার্থীদেরকে পড়াতে পারবেন কিন্তু তারা যখন টেলিগ্রামে স্ক্রিন শেয়ার করে আপনাকে কোন লেখা বা পড়া দেখাবে তখন একটু সমস্যা হয়ে যেতে পারে। আর মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে ক্লাস করা যাবে কিন্তু সেক্ষেত্রে অডিও ক্লাসটা সবথেকে বেস্ট।

আর ভিডিও ক্লাসের জন্য জুম, গুগলমিট এবং ডিসকোর্ড সব থেকে বেস্ট। তাহলে আপনি যদি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ভিডিও কলে ক্লাস নিতে চান তাহলে অবশ্যই জুম, গুগলমিট এবং ডিসকোর্ড ব্যবহার করবেন টেলিগ্রামও ব্যবহার করা যায় কোনো সমস্যা নাই।

আর আপনি যদি অডিও কলের মাধ্যমে ক্লাস নিতে চান তাহলে মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন চাইলে জুম, গুগলমিট এবং ডিসকোর্ড বা টেলিগ্রাম ব্যবহার করতে পারবেন কোনো সমস্যা নাই। আর বর্তমানে অনলাইনে প্রাইভেট পড়ার চাহিদাটা অনেক বেশি।

তাই আপনি খুব সহজেই অনলাইনে প্রাইভেট পড়িয়ে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এইভাবে অনলাইনে প্রাইভেট পড়িয়ে প্রতি মাসে তাদের কাছ থেকে অনলাইনে বেতন নিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারেন। তাহলে আশা করছি বুঝতে পেরেছেন যে, কিভাবে অনলাইনে প্রাইভেট পড়িয়ে প্রতি মাসে লোখ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়।

ইউটিউব থেকে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়

বর্তমানে প্রচুর মানুষ ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে সেখানে তাদের মনের ভাব ভিডিওর মাধ্যমে প্রকাশ করে মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারছেন। কেউ তার গেম খেলা শেয়ার করছে, কেউ পড়াশোনা সম্পর্কে ভিডিও দিচ্ছে, কেউ ইনকাম সম্পর্কে ভিডিও দিচ্ছে, কেউবা আবার কৌতুক, ধাঁধা ইত্যাদি সম্পর্কে ভিডিও দিচ্ছে।

চাইলে আপনিও এই ধরনের ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে পাবলিশ করে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারেন। আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে সে সকল বিষয়ে ভিডিও ছাড়তে পারেন যেগুলো আপনি খুব ভালো করে পারেন।

অর্থাৎ যদি আপনি গেম খেলতে ভালো পারেন তাহলে গেম খেলার বিষয়ে ভিডিও দেন, যদি আপনি পড়াতে ভালো পারেন তাহলে পড়ার বিষয়ে কোনো ভিডিও দেন, যদি আপনি ঘোরাফেরা করতে পছন্দ করেন তাহলে আপনার ঘোরাফেরা করার ভিডিও করে দেন ইত্যাদি বিষয়ে আপনি ভিডিও করে ইউটিউবে পাবলিশ করে দেন।

যার ফলে ইউটিউবে আপনার ভিউয়ার্স এবং সাবস্ক্রাইবার্স বাড়বে যার ফলে আপনি পরবর্তীতে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজ করতে পারবেন এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজ হয়ে যাওয়ার পরে আপনার ভিডিও যতজনই দেখুক না কেন আপনি সেখান থেকে প্রতি মাসে একটা ফিক্সড ইনকাম পাবেন।

যেটাকে প্যাসিভ ইনকামও বলা হয়। অর্থাৎ আপনি প্রথম দিকে একটু কষ্ট করে মনিটাইজ করার পরে কোনো কাজ না করেও ইউটিউব থেকে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারছেন। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে আপনি ইউটিউব থেকে প্রতি মাসে লাখ পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

ফেসবুক থেকে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করার

বর্তমানে এই ফেসবুক থেকে অনেক মানুষ দিনে, মাসে কিংবা বছরে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারছেন। চাইলে আপনিও এই ফেসবুক থেকে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের ছবি, ভিডিও, পোস্ট করে সেখানে ফলোয়ার্স এবং ভিউয়ার্স বাড়িয়ে ইনকাম করতে পারেন।

কেননা যদি আপনার ফেসবুকে সেখানকার নিয়মানুযায়ী ফলোয়ার্স এবং ভিউয়ার্স বাড়ল আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট মনিটাইজ করা যাবে এবং ফেসবুক মনেটাইজ করার পরে সেখান থেকে খুব সহজেই ঘরে বসে প্রতি মাসে লোখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

তাছাড়া আপনার কাছে থাকা যে কোন প্রোডাক্ট ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্রয় করে সেখান থেকেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এইভাবে আপনি ফেসবুক থেকেও প্রতি মাসে লাখ   টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে, কিভাবে আপনি ফেসবুক থেকে প্রতি মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করবেন।

রিসেলিং করে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়

বর্তমানে অনেক মানুষ রিসেলিং করেও অনেক টাকা ইনকাম করছে। আপনিও খুব সহজেই রিসেলিং করেও প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে কিভাবে এই রিসেলিং করে...কি তাই না? তাহলে চলুন এই সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক।

ধরুন দারাজে আপনি একটি প্রোডাক্ট দেখলেন "কম্পিউটার" যার মূল্য দারাজে ১৫০০ টাকা। এখন আপনার কাজ হবে সেই প্রোডাক্ট এর ছবি, ডেসক্রিপশন এবং টাইটেল পড়ে কিংবা কপি করে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, টেলিগ্রাম, আপনার ওয়েবসাইট ইত্যাদি এরকম সকল জায়গায়।

যেখানে মানুষজন ভিজিট করে বেশি সেখানে আপনি সেই প্রোডাক্টের ছবি, টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন দিয়ে পোস্ট করলেন। কিন্তু দারাজের তুলনায় আপনার দেওয়া মূল্যটি একটু বেশি দেন অর্থাৎ যদি দারাজে ১৫০০ টাকা দেওয়া থাকে তাহলে আপনি দেন ২০০০ টাকা।

এখন আপনার পোস্ট দেখে অবশ্যই কেউ না কেউ আপনার সাথে যোগাযোগ করবে আপনার পোস্ট করা প্রোডাক্টটি অর্থাৎ কম্পিউটারটি ক্রয় করার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। এখন যদি আপনি তাকে সেই কম্পিউটারটি ২ হাজার টাকা কিংবা ১৫০০ টাকার বেশি কোনো এমাউন্টে বিক্রয় করে দেন।

তাহলে আপনি সেখান থেকে কিছু টাকা হলেও ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি প্রতিদিন ৪০টা কিংবা ৫০টা কিংবা ১০০টা প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন বেশি দামে তাহলে আপনি সহজেই ঘরে বসে অনলাইন থেকে প্রতি মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারছেন, যা আপনার পক্ষে কোন ব্যাপারই না।

রিসেলিং করে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়

তাছাড়া আপনি যদি প্রতিদিন বেশি বেশি প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা যেখান থেকে প্রোডাক্ট সেল করছেন সেই ওয়েবসাইটের মালিকের সাথে যোগাযোগ করে আপনি তাদের প্রোডাক্ট সেল করার জন্য তাদের কাছ থেকেও কিছু কমিশন পেতে পারেন।

আবার প্রোডাক্টটি বেশি দামে সেল করার ফলেও আপনি সেখান থেকেও একটি ইনকাম করতে পারছেন। অর্থাৎ এর মাধ্যমে দুই ধরনের উপায়ে ইনকাম করতে পারছেন একটা হল, যে ওয়েবসাইট থেকে আপনি প্রোডাক্ট সেল করবেন সেই ওয়েবসাইট থেকে একটা ইনকাম পাচ্ছেন তাদের প্রোডাক্ট সেল করার জন্য।

আর দ্বিতীয়টি হলো প্রোডাক্ট সেল করার পরে অতিরিক্ত টাকাটাও আপনার ইনকাম হিসেবে গণ্য হয়ে যাচ্ছে। এইভাবে আপনি প্রতিদিন রিসেলিং করে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারছেন।

আশা করছি বুঝতে পেরেছেন যে, কিভাবে আপনি রিসেলিং করে খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই প্রতি মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়

বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। আপনিও চাইলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে লক্ষাধিক কিংবা তার বেশি টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, কিভাবে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিংবা এই এফিলিয়েট মার্কেটিং কি....কি তাই না?

এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন মার্কেটিং যা আপনি শারীরিক পরিশ্রম না করে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষকে আপনার দিকে আকর্ষিত করেন বা আহ্বান করেন। অর্থাৎ অনলাইনের মাধ্যমে মানুষজনদেরকে আপনার নিচে বা আপনার আন্ডারে কাজ করানো।

যার ফলে আপনি তাদের কাছ থেকে একটা ফিক্সড ইনকাম করতে পারবেন। আচ্ছা এই বিষয়টা সম্পর্কে একটু বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। ধরুন, আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দেন যার ফলে মানুষজন সেটা পড়ে উপকৃত হবে।

এখন আপনি সেই ব্লগার ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম পেতে চান তার জন্য অবশ্যই আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে এডসেন্স এপ্লাই করতে হবে যেন আপনি প্রতি মাসে ফিক্সড ইনকাম পেতে পারেন আপনার ওয়েবসাইট থেকে। কিন্তু ওয়েবসাইটে এডসেন্স এপ্লাই করার জন্য অবশ্যই প্রচুর ভিজিটর দরকার আপনার ওয়েবসাইটে।

কিন্তু এই ভিজিটরটা আসবে কিভাবে এবং কোথায় থেকে। নিশ্চয়ই আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য আপনি আপনার পোস্ট ইউটিউবে শেয়ার করবেন, ফেসবুকে শেয়ার করবেন, সোশ্যাল শেয়ার অ্যাপস আছে সেগুলোতে শেয়ার করবেন যেন আপনার পোস্ট দেখে মানুষ আপনার ওয়েবসাইটে আসে।

যেন আপনার ভিজিটর বাড়ে যার ফলে আপনি অ্যাডসেন্স এপ্লাই করতে পারেন। এই যে আপনি ভিজিটর বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল শেয়ার ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইটের প্রচার করলেন যার ফলে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়লো, এই প্রচার করার প্রক্রিয়াটিই হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং।

আশা করছি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে প্রতি মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

সবশেষে। মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় - এর জন্য ৯টি গোপন টিপস

উপরে বর্ণিত উপায় গুলোর মধ্যে যে কোন উপায় আপনি অবলম্বন করে খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে প্রতি মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আর আপনি যদি এখানে উল্লেখ করা উপায় গুলোর মধ্যে একাধিক উপায় অবলম্বন করেও মাসে লাখ টাকার বেশিও ইনকাম করতে পারেন।

আর এই উপায় গুলোর মধ্যে কোন একটি উপায় অবলম্বন করার ফলে যদি আপনার কোন সমস্যা ফেস করতে হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের যোগাযোগ পেইজে গিয়ে যোগাযোগ করুন কিংবা কমেন্ট করুন সেই সমস্যার বিষয় সম্পর্কে জানিয়ে। আমরা অবশ্যই সেই সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করবো।

আর এই পোস্টে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে সেটা আমাদেরকে জানাবেন কিংবা কোনো পরামর্শ থাকলে অবশ্যই সেটা আমাদেরকে যোগাযোগ পেইজের মাধ্যমে বা কমেন্টে জানাবেন তাহলে আমরা অবশ্যই চেষ্টা করবো আপনার পরামর্শের উপরে ভিত্তি করে পোস্ট বানাতে এবং পরবর্তীতে কোনো পোস্টে আপনার চোখে পড়া ভুল না করতে।ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইউনিক আইটি ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। কেননা কমেন্ট চেক করা হয়।

comment url