মানবজীবন এবং ছাত্রজীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা এবং অপকারিতা
আপনার ছেলে-মেয়ে-ভাই-বোন যেই হোক না কেন যদি অতিরিক্ত মোবাইল টিপে তাহলে অবশ্যয় এই পোস্টটি আপনার জন্য, কেননা এখানে বলে দেও্য়া আছে যে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যাবহার করলে কি হয় এবং এর থেকে বাঁচার উপায় কি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এই পোস্টটিতে।
তাই বলছি যারা ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তারা এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
- ভূমিকা
- মোবাইল ফোনের ব্যাবহার এবং জনক
- মানবজীবন এবং ছাত্রজীবনে মোবাইল ফোন ব্যাবহারের গুরুত্ব
- মানবজীবনে এবং ছাত্রজীবনে মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যাবহারের ফলে যা ঘটে
- মানবজীবনে এবং ছাত্রজীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা
- মানবজীবনে এবং ছাত্রজীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
- মোবাইলের এই সকল অপকারিতা থেকে নিজেকে রক্ষা করার উপায়
- পরামর্শ
ভূমিকা
বর্তমানে মানবজীবনে এবং ছাত্রজীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় বিষয় বা বস্তুটি হলো মোবাইল ফোন। এই মোবাইল ফোনটি সকল ধরণের মানুষ অর্থাৎ ছোট-বড়, ছাত্র-শিক্ষক, মা-বাবা, ভাই-বোন সকলেই মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে বা করতে চাই, কেননা এর প্রচুর উপকারিতা রয়েছে এবং এর মাধ্যমে অনেক কাজ সহজ হয়ে যায় যার ফলে মানুষ তাদের কাজ খুব সহজেই সম্পূর্ণ করতে পারে এবং উপকৃত হয়। কিন্তু এই মোবাইল ফোনের যে রকম অনেক উপকারিতা রয়েছে ঠিক সে রকমই তার অপকারিতাও রয়েছে যা আজকে আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো এই পোস্টটির মাধ্যমে।
মোবাইল ফোনের ব্যাবহার এবং জনক
মানুষ তার বিভিন্ন কাজ সহজ করতে, তার জ্ঞান বাড়াতে, তার থেকে দূরে থাকা তার কাছের মানুষ বা প্রতিবেশীর সাথে যোগাযোগ করতে এবং আরও অন্যান্য বিভিন্ন কারণে মোবাইলের সাহায্য নেয় যার ফলে মানুষ বিভিন্ন দিক থেকে অনেক উপকৃত হয়। কিন্তু আপনি কি কখনো এটা ভেবেছেন যে, এই মোবাইল ফোন যার মাধ্যমে মানুষ বিভিন্নভাবে উপকৃত হচ্ছে, এই মোবাইল ফোন কোথা থেকে এসেছে বা কে বানিয়েছে? তো চলুন আজকে আমি আপনাকে বলছি যে এই মোবাইল ফোন কে বানিয়েছে বা কোথা থেকে এসেছে।
আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত "মোটোরোলা" নামক একটি টেলিকম কম্পানিতে কর্মরত "ডঃ মার্টিন কুপার" নামক এক ব্যাক্তি (যে এখন একজন বড় বিজ্ঞানী)। যার স্বপ্ন ছিলো যে, তার বানানো ফোন একদিন সবার ঘরে ঘরে সবার হাতে হাতে থাকবে।
এই কারণেই সে অনেক চেষ্টা করার পরে এই মোবাইল ফোন বানাতে পেরেছেন যার নাম ছিল "ডায়না টিএসি ৮০০০এক্স" যার ওজন ছিলো ২ কেজি। তারপরে ধীরে ধীরে এটার উন্নত করে আমাদের হাতে থাকা স্মার্ট ফোন বানানো হয়েছে যেখানে আগের তুলনায় অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা রয়েছে এবং এর মাধ্যমে মানুষ অনেক উপকৃত হয়েছে, মানুষ তার বিভিন্ন কাজ খুব সহজে সম্পন্ন করে ফেলতে পারছে শুধু তাই নয় ছাত্ররাও এর মাধ্যমে অনেক উপকৃত হয়েছে। যেমন:
- মানুষ খুব সহজে তার আপনজনের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে দূরে কিংবা অন্যান্য শহরে থাকার সত্বেও।
- মানুষ খুব সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য খুজে পাচ্ছে।
- একজন শিক্ষক খুব সহজেই পরীক্ষার জন্য প্রশ্নপত্র বানিয়ে ফেলে।
- একজন ছাত্র তার অজানা তথ্য খুব সহজেই জানতে পারে এবং জানা তথ্য আরো ভালোভাবে জানার চেষ্টা করতে পারে।
- যারা প্রাইভেট দিতে পারেনা বাহিরে তারা খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে প্রাইভেট পড়তে পারছে ঘরে বসে।
- অনলাইনে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করে দেশের বেকারত্ব দূর হচ্ছে এবং নিজের সংসার চালাতে সক্ষম হচ্ছে।
- তাছাড়া আরও বিভিন্ন যেমন: লোকেশন খোঁজার ক্ষেত্রে, ব্যাবসা করার ক্ষেত্রে, ছবি তোলার ক্ষেত্রে, ভিডিও করার ক্ষেত্রে ইত্যাদি বিভিন্নভাবে বিভিন্ন উপায়ে আমি, আপনি, ছাত্র-ছাত্রী এবং আরও অন্যান্য মানূষজন বিভিন্নভাবে উপকৃত হচ্ছে।
তবে হ্যাঁ, খালি যে উপকৃত হচ্ছে এমনটাও না বিভিন্ন মানুষ খারাপ পথেও চলে যাচ্ছে এই মোবাইলের জন্য চলুন এক নজরে দেখে নেই তাদের লিস্ট:
- এই মোবাইলের মাধ্যমে মানুষ খারাপ ছবি, ভিডিও দেখছে এবং নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।
- ছাত্ররা এই মোবাইলে বিভিন্ন প্রকার অনলাইন গেম খেলে আসক্ত হচ্ছে যার ফলে তাদের পড়াশোনাতে কোনো মনোযোগ নাই যার ফলে তার বাবা-মা তার জন্য অনেক চিন্তা করে এবং ছাত্রটার ভবিষ্যতও খারাপের দিকে যায়।
- তাছাড়া অতিরিক্ত মোবাইল ব্যাবহারের কারণে তাদের চোখ নষ্ট হয়ে যায়, মাথা ব্যাথা করে, চিন্তা শক্তি কমে যায়। আরও বিভন্ন সমস্য যা আমরা নিচে আলোচনা করবো।
মানবজীবন এবং ছাত্রজীবনে মোবাইল ফোন ব্যাবহারের গুরুত্ব
মানবজীবনে মোবাইল ফোন ব্যাবহারের গুরুত্ব: বর্তমানে মানবজীবন এবং ছাত্রজীবনে মোবাইল ফোন ব্যাবহারের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে মানুষ বিভিন্ন দিক থেকে, বিভিন্ন উপায়ে এবং বিভিন্ন কারণে এই মোবাইল ফোনের উপর নির্ভরশীল। মানুষ বর্তমানে মোবাইল ফোনকে একটু বিশেষ গুরুত্বের চোখ দিয়ে দেখে কেননা্ এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তারা তাদের বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সমাধান পেয়ে যাচ্ছে যার ফলে তারা নিজেরাও উপকৃত হচ্ছে এবং তাদের প্রতিবেশী, মা-বাবা, ভাই-বোন, সন্তান-সন্ততী, স্ত্রী সকলকে উপকৃত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।
আর এই সকল কারণেই মানুষের জীবনে মোবাইল ফোন ব্যাবহারের গুরুত্ব অত্যধীক। কোন কারণ গুলোর কথা আমি বলছি চলুন সেগুলো সম্পর্কে একটু জেনে নেয়া যাক:
- ধরেন, আপনার কোনো প্রিয় মানুষ অর্থাৎ মা-বাবা, ভাই-বোন ইত্যাদি যে কেউ আপনার থেকে দূরবর্তী কোনো দেশে গেছে আপনি তার সাথে যোগাযোগ করবেন সেক্ষেত্রে এই মোবাইল ফোন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
- শুধু তাই নয় আপনার যদি তাকে দেখতেও মন চাই তাহলে এখন সেটিও সম্ভব এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।
- যদি আপনি কোনো বিপদে পড়েন তাহলে কাউকে সেই খবরটি পৌছানোর ক্ষেত্রে যেরকম ভূমিকা পালন করবে এই মোবাইল ফোন ঠিক সেরকমই আপনি কোথায় আছেন কোথায় যাবেন সে সম্পর্কে তথ্যও পাওয়া যাবে মোবাইলের মাধ্যমে।
- আপনি যদি কোনো বিষয় সম্পর্কে না জানে বা অজ্ঞাত হয়ে থাকেন তাহলে, খুব সহজে সেই তথ্যটি সম্পর্কে মোবাইলে সার্চ করার মাধ্যমে খুজে পাবেন এবং সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
- আপনি যদি কোনো ব্যাবসা করেন সেক্ষেত্রে ব্যাবসার সকল হিসাব-নিকাশ মোবাইলে সেভ করে রাখতে পারেন।
- তাছাড়া যারা বেকার অর্থাৎ যাদের কোনো চাকরি নাই তারা মোবাইলের মাধ্যমে অনায়াসে অনলাইন ইনকাম করে টাকা উপার্জন করতে পারে।
- আপনার যদি কোথাও ঘুরতে যেতে চান তখন আপনাকে মোবাইল ফোন ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে সেই জায়গা খুজতে এবং সেখানে যেয়ে কোথায় থাকা যায় সেই সম্পর্কে জানতে।
- তাছাড়া যদি ঐখানে এমন কোনো পশু, ফুল বা বিস্ময়কর জিনিস দেখতে পান যা আপনার দেশে নাই সেই পশু, ফুল বা বিস্ময়কর জিনিসের ছবি বা ভিডিও করে আপনার দেশে নিয়ে যেতে পারেন এবং সকলকে তা দেখাতে পারেন পুনরায়।
আরও অনেক কারণ রয়েছে যা আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আমরা জানলাম যে, মানবজীবনে কেন এই মোবাইল ফোন এতটা গুরুত্বপূর্ণ চলুন এখন জানি যে ছাত্রজীবনে মোবাইল ফোন কেন এত গুরুত্বপূর্ণ:
- বর্তমানে সরকারের শিক্ষাব্যাবস্থার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করতে পারছেনা অর্থাৎ কিভাবে সেই কাজগুলো করবে ছাত্র-ছাত্রীরা তা বুঝতে পারছেনা সেক্ষেত্রে তারা মোবাইলে ভিডিও দেখার সাহায্যে বা ওয়েবসাইট ঘাটার মাধ্যমে তারা তাদের সমস্যা এবং পড়া সম্পর্কে আলোচনা খুব সহজেই জানতে পারছে।
- তাদের যদি তাদের পড়ার ভিতরে কোনো ধরণেন সমস্যা বা প্রশ্ন বের হয় তাহলে তারা মোবাইলে সার্চের মাধ্যমে তা খুব সহজেই সমাধান করে ফেলতে পারে।
- তারা মোবাইলের ফোনের মাধ্যমে জ্ঞানী ব্যাক্তিদের পরিচয় সংগ্রহ করতে পারে এবং তাদেরকে অনুসরণ করে তারাও সেই জ্ঞানী ব্যাক্তিদের মতো হওয়ার চেষ্টা করতে পারে।
- তাদের যদি কোনো বইয়ের প্রয়োজন হয় কিন্তু কেনার টাকা নাই তাহলে তারা সেই বইটি মোবাইলের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারে ফ্রিতে বা তাদের বন্ধুদের কাছে থেকে সেখানে থাকা পড়াগুলোর ছবি তুলে নিয়ে আসতে পারে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।
- কোনো দূর্ঘটনা ঘটতে দেখলে তারা পুলিশকে বা ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিয়ে জানাতে পারে সেখানে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে।
- তারা যদি কোনো বিপদে পড়ে তাহলে তারা তাদের বাবা-মায়ের সাথে যোগাযোগ করে সেই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারে।
- যারা টাকার অভাবে প্রাইভেট পড়তে পারেনা বাহিরে তারা ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিতে অনলাইন ক্লাস করে পড়াশোনা করতে পারে।
- যেই ছাত্ররা গরীব তারা ঘরে বসে পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে তাদের খরচটা বহন করতে পারে।
এগুলো ছাড়াও আরও অনেক কারণ রয়েছে যা পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
মানবজীবনে এবং ছাত্রজীবনে মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যাবহারের ফলে যা ঘটে
মোবাইল ফোন মানুষের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বস্তু। কিন্তু এই মোবাইল ফোনের যেরকম ভালো দিক রয়েছে সেরকম অনেক খারাপ দিকও রয়েছে। যারা অনেক বেশি বা অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে তারা বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে যার ফলে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়ে যায়। তাহলে চলুন সেই সকল সমস্যা সম্পর্কে জেনে নেই যে সকল সমস্যা মানুষের অতিরিক্ত মোবাইল ফোন চালানোর ক্ষেত্রে হয়:
- অতিরিক্ত মোবাইল ফোন চালানোর জন্য মানুষের চোখের সমস্যা হতে পারে।
- ফোনে টানা অনেক সময় ধরে কথা বললে কানের সমস্যা হতে পারে।
- বন্ধুদেরকে অতিরিক্ত মেসেজ করলে পরে দেখবেন আপনার হার-ঘাড় ব্যাথা করছে।
- অতিরিক্ত ফোন ব্যাবহারের ফলে মানসিক সমস্যা হতে পারে।
- অতিরিক্ত ফোন ব্যাবহার কররে সোশ্যাল সাইটের প্রতি অ্যাডিকশন হয়ে পড়তে পারেন যার ফলে ্আপনার মানসিক সমস্যা হতে পারে।
- অতিরিক্ত ভিডিও দেখলে বা মোবাইল ব্যাবহার করলে আপনার মেমোরি ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যাবহার করলে আপনার হৃদপিণ্ড অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পোতে পারে।
- এতক্ষণ আমরা জানলাম যে, মানবজীবনে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যাবহার করলে কি কি ক্ষতি হতে পারে। আসুন আমারা এখন জানি যে, ছাত্রজীবনে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যাবহার করলে কি কি ক্ষতি হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক:
- ছাত্ররা অতিরিক্ত মোবাইল ব্যাবহার করলে তাদের ব্রেনের সৃতি শক্তি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
- তারা যদি অনলাইন গেমে আসক্ত হয়ে যায় তাহরে তাদের পড়াশোনা থেকে মন উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
- তাদের স্মরণশক্তি কমে যাওয়ার আসঙ্কা আছে।
- মেজাজ খিটিমিটে হয়ে যাবে অর্থাৎ কারণে অকারণে অন্যদের উপরে রাগ দেখাবে।
- কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে পারবে না।
- ঘুমে বেঘাত ঘটবে।
আরও অনেক কিছু রয়েছে যা আপনাদের জানা অতীব প্রয়োজন তাই আপনি অবশ্যয় আমাদের বাকি পোস্টটুকুও পুরা পড়েন এবং জানার চেষ্টা করেন।
মানবজীবনে এবং ছাত্রজীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা
মোবাইল ফোন এমন একটি বস্তু যা সাধারণ মানুষ এবং ছাত্রদের জীবনকে করে তুলেছে সহজ অর্থাৎ আগের যুগে মানুষ যেরকম অনেক ধরণের কাজ (যেমন: এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে খবর পৌছানো, টাকা উপার্জন করা, পড়াশোনা করা ইত্যাদি) অনেক কষ্ট শয্য করে পূরণ করতো মোবাইল আসার পরে সে সকল কাজ এখন মানুষের কাছে এবং ছাত্র-ছাত্রীর কাছে অনেক সহজ হয়ে গেছে যা মানুষের অনেক উপকারে আসে। তাহলে চলুন জেনে নেই সে সকল বিষয় সম্পর্কে যে বিষয়ের জন্য সাধারণ মানুষ এবং ছাত্র-ছাত্রী এই মোবাইল ফোনকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে।
- সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে: এখন মানুষ বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে বাহিরের দেশে যায় যার ফলে তার আপনজনের কাছে থাকতে পারে না। সেক্ষেত্রে এই মোবাইল ফোন অনেক উপকারী তাদের জন্য কেননা তারা এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার আপনজন অর্থৎ বাবা-মা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব সবার সাথে খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারে। শুধু তাই নয় বর্তমানে মোবাইল ফোন অনেক উন্নত করা হয়েছে যার ফলে মানুষ এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের লোকের সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলতে পারে।তাছাড়া কেউ যদি কথা বলার পরিস্থিতিতে না থাকে তাহলে মেসেজের মাধ্যমেও কথা বলতে পারে এবং যদি কোনো ছবি, ভিডিও দেখানোর প্রয়োজন হয় তাহলে তা খুব সহজে দেখাতে পারে অপর প্রান্তের মানুষকে।
- তথ্য খোঁজা এবং আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে: সাধারণ মানুষ এবং ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের অজানা যেকোনো তথ্য খুব সহজে খুঁজে বের করতে পারে এবং সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে। তাছাড় সে যেই তথ্য জেনেছে সেই তথ্য সে তার বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারে তার হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে এবং তার বন্ধুদেরও উপকার করতে পারে খুব সহজে।
- ব্যাবসা চালানোর ক্ষেত্রে: বর্তমানে অনেক মানুষ অনেক রকমের ব্যাবসা করে যেমন: কম্পিউটারের ব্যাবসা, খাতা-কলমের ব্যাবসা ইত্যাদি এরকম অনেক ব্যাবসা অনেক মানুষই করে বা করছে। কিন্তু আগে যখন মানুষ ব্যাবসা করতো তখন তাদেরকে ব্যাবসার বিভিন্ন কাজের জন্য বাহিরের দেশে যেতে হতো। কিন্তু এখন বর্তমানে স্মার্ট মোবাইল ফোনের জন্য তারা ঘরে বসেই অনলাইনে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাবসার কাজ শেষ করতে পারে।
- শিক্ষাক্ষেত্রে মোবাইল: একজন ভালো ছাত্র সবসময়ই চাইবে যে বিভিন্ন বই পড়ে পরীক্ষায় ভালো রেসাল্ট করতে কিন্তু গরীব হওয়ার কারণে তারা বই বেশি কিনতে পারে না এবং জ্ঞান অর্জন করতে পারে না। কিন্তু বর্তমানে মোবাইল ফোন আসার পরে প্রত্যেকটা ছাত্র-ছাত্রী খুব সহজে ফ্রিতে পিডিএফ হিসেবে বই ডাউনলোড করে পড়তে পারে এবং বিভিন্ন জায়গার, বিভিন্ন কবির এবং আরও বিভিন্ন তথ্যের বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং পরীক্ষায় ও তার জীবনে সফল হয়ে উত্তীর্ণ হয়ে উঠতে পারে।তাছাড়া বর্তমানের শিক্ষা-ব্যাবস্থার দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, বর্তমানে যে ধরণের শিক্ষা সেটা আসলে মোবাইল ছাড়া করা যায় না। কেননা স্কুল থেকে এমন এমন কাজ দেয় যা কারো দেখে করা বা কারো কাছে থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেই করা যাবে যেমন: বন্ধু খাতা বানানো, টেরিরিয়াম বানানো, ছবি আঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি এগুলো পারে এরকম কেউ যদি শিক্ষার্থীকে শেখায় তাহলেই সে এগুলো খুব সহজেই করে নিয়ে যেতে পারবে।কিন্তু এগুলো বিষয়ে বার বার শিক্ষা গ্রহণ করতে গেলে অনেক টাকা ব্যায় হয়ে যাবে যা মা-বাবার পক্ষে সাধ্য নয় আবার তারাও যে এই সকল বিষয়ে সব জানে এরকমটাও নয়। সেক্ষেত্রে তারা মোবাইলের মাধ্যমে সেই সম্পর্কিত বিষয়ে খুঁজে বের করে তার ছেলে-মেয়েদেরকে সেই কাজটি ভালোভাবে করতে বলে যার ফলে তারাও উপকৃত হয় এবং টাকাও বেঁচে যায়।
- ইনকামের ক্ষেত্রে মোবাইল: বর্তমানে বাজারে শাক-সবজি, ভাত, ডাল, গোশত, খাতা-কলম ইত্যাদি সকল জিনিসপত্রে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু সাধারণ মানুষের ইনকাম বা বেতন বৃদ্ধি পায়নি যার ফলে তারা অনেক কষ্ট শয্য করে। এই কষ্টটি তারা শয্য এই জন্যই করে যেনো তারা আরও বেশি টাকা উপার্জন করতে পারে এবং সংসার সুষ্ঠভাবে চালাতে পারে এবং সকল ধরণের শাক-সবজি, গোশত, ভাত, ডাল ইত্যাদি জিনিসপত্র কিনতে পারে এবং তার পরিবারকে দিতে পারে। কিন্তু বর্তমানে এই কষ্ট কমানোর জন্য মোবাইল বিশেষ ভূমিকা পালন করে সেটি হলো অনলাইন ইনকাম।হ্যাঁ, বর্তমানে বিভিন্ন উপায়ে হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই অনলাইন ইনকাম করতে পারেন এবং আপনার পরিবার সুষ্টভাবে পরিচালনা করতে পারেন, যেনো কোনোরকম কষ্ট না হয় তাদের এরকমভাবে আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
- লোকেশন খোঁজার ক্ষেত্রে: বর্তমানে বড় বড় বিল্ডিং, কল-কারখানা, ফ্যাক্টরি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে যখন এক দেশের মানুষ আরেক দেশে যায় তখন রাস্তা ভুলে যেতে পারে তাই জন্য মোবাইলে এমন একটি সফ্টওয়্যার দিয়ে দিয়েছে যার মাধ্যমে মানুষ খুব সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে তার গন্তব্য স্থানে পৌছাতে পারে।
- গেম খেলার ক্ষেত্রে: আগে মানুষকে এক জায়গাতে বসে একভাবে গেম খেলতে হতো কিন্তু বর্তমানে মোবাইল ফোনেও গেম খেলা যায়। যেহেতু মোবাইল ফোন যেখানে সেখানে বহন করা যায় তাই মোবাইল ফোনে যেখানে সেখানে খুব সহজে গেম খেলা যায়।
- ব্যাংকিং এবং বিল পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে: আগে মানুষ যখন কারো কাছে থেকে টাকা পেতো বা ইনকাম করতো তখন তারা তাদের সেই টাকা ব্যাংকে জমা করে রাখতো এবং যখন তোলার হতো বা কাউকে সেন্ড করার হতো বা আরো টাকা ঢুকানোর হতো তখন তাদেরকে ব্যাংকে যেতে হতো পুনরা চায় সেই ব্যাংকটি যতই দূরে হোক না কেনো। কিন্তু বর্তমানে মোবাইল ফোন থাকার কারণে এগুলো অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।তাছাড়া আগে কারেন্ট বিল বা অন্যান্য যেকোনো বিল পরিশোধ করার জন্য কষ্ট করে লাইনে দাঁড়াতে হতো কিন্তু বর্তমানে মোবাইল থেকেই বিল পরিশোধের ব্যাবস্থা করা হয়েছে যেনো আমাদের কষ্ট না হয় তাই জন্য। বাংলাদেশের কিংবা অন্যান্য দেশের সকল ব্যাংক বর্তমানে মোবাইলে একটি নিজেস্ব অ্যাপ নামিয়েছে যার ফলে আমরা খুব সহজেই ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে পারি কোনোরকম কষ্ট ছাড়া। তাছাড়া প্রত্যেকটি দেশের নিজেস্ব কিছু অ্যাপ বা সফ্টওয়্যার থাকে যা লেনদেনের জন্য, বিল পরিশোধের জন্য খুব উপকারী।
- ছবি তোলা, অডিও শোনা এবং ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে মোবাইল: আগে মানুষ ছবি তোলার জন্য স্টুডিওতে যেত, অডিও এবং ভিডিও সহ নানা ধরণের সিনেমা, গান ইত্যাদি শুনতে ও দেখতে হলে যেত। কিন্তু বর্তমানে মোবাইল আসার পরে মানুষ এখন বিভিন্নভাবে এবং খুব সুন্দরভাবে সহজেই ছবি তোলা যায় কোনোরকম স্টুডিওতে যাওয়া ছাড়া তাছাড়া নিজের ছবি ছাড়া অন্যান্য সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্রের ছবি তোলা যায় তাও আবার অডিও এবং ভিডিওসহ।তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রীরা খুব সহজেই তার বন্ধুদের নোট-পত্রের ছবি তুলে এনে তারা অনায়াসে বিনামূল্যে পড়াশোনা করতে পারে।তাছাড়া হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে মানুষ এবং ছাত্র-ছাত্রীরা খুব সহজে কোনোরকম ঝামেলা ছাড়া যেকনো সিনেমা, মুবি, গান ইত্যাদি শুনতে ও দেখতে পারে।
মানবজীবনে এবং ছাত্রজীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
এই দুনিয়ায় যত ধরণের বিষয়-বস্তু রয়েছে তার প্রত্যেকটির ভালো ও মন্দ দিক উভয়ই রয়েছে। তাহলে এই মোবাইল ফোনেরও অবশ্যয় কোনো মন্দ বা খারাপ দিক রয়েছে। কি সেই দিকগুলো, কিভাবে বুঝবেন যে আপনি যেই কাজটা করছেন মোবাইলে সেটা খারাপ না ভালো, চলুন সেই সকল বিষয়ে আমরা একটু আলোচনা করি।
- উপরে বর্ণিত মানবজীবনে এবং ছাত্রজীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা সম্পর্কে যা কিছু বলা হয়েছে সেই সকল বিষয়ের মন্দ দিকও রয়েছ কি সেগুলো চলুন জেনে নেয়া যাক:
- সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে: সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে যেরকম ভালো দিক রয়েছে ঠিক সেরকম খারাপ দিকও রয়েছে এর। এই মোবাইল ফোন আসার পরে একজন মানুষ বা ছাত্র আরেকজন ছাত্র বা মানুষকে ফোন দিয়ে বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেগুলোর দ্বারা বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেল, হ্যাকিং, টাকা চুরি ইত্যাদি বিভিন্ন খারাপ কাজ করে যার ফলে অন্যান্য মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়
- তথ্য প্রকাশ: তথ্যের যেরকম ভালো দিক রয়েছে ঠিক সেরকম খারাপ দিকও রয়েছে। একজন ব্যাক্তি আরেকজন ব্যাক্তির তথ্য সংগ্রহ করে তাকে এডিট করে খারাপ তথ্যে রুপান্তরিত করে এবং তাকে ব্লাকমেল করে টাকা ছিনতাই করে।
- গেম খেলার ক্ষেত্রে: গেম খেলারও ব্যাপক ক্ষতি রয়েছে যা নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক। এই ক্ষতিটা হয় বিশেষ করে বাচ্চাদের বা ছাত্র-ছাত্রীদের কেননা তারাই গেম খেলে বেশি। গেম খুবই মজার একটি জিনিস যা মানুষকে নিজের দিকে আকর্ষিত করে কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই গেম মানুষের জানটাও নিতে পারে!আসলে ছোট ছোট বাচ্চা বা ছাত্র-ছাত্রীরা যখন গেম খেলে তখন খেলতেই থাকে গেম ছাড়ার নাম নেই না তারা তখন তাদের গেমের প্রতি একটি আসক্তি তৈরী করে দেই যার ফলে তারা তাদের বাল্যকাল হারাই এবং নিজের জীবন গেমের প্রতি লাগিয়ে দেই।তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রীরা যখন গেমের প্রতি আসক্তি হয় তখন তাদের পড়াশোনা থেকে মন উঠে যায় এবং গেমের প্রতি সম্পূর্ণ মন চলে আসে। তাই তাদেরকে গেম থেকে দূরে রাখতে হবে অবশ্যয় তবে তাদেরকে মাঝে মাঝে গেম খেলতে অবশ্য দিবেন কেননা তাতে তাদের মন, ব্রেন এবং মানসিকতাটা ফ্রেশ থাকবে এবং তাদের কাজে মনোযোগ দিতে পারবে বেশি।
- ছবি, অডিও এবং ভিডিও এর ক্ষেত্রে: এগুলোর যেরকম ভালো দিক রয়েছে ঠিক সেরকম খারাপ দিকও রয়েছে। এই মোবাইল ফোন দিয়ে মানুষ খারাপ খারাপ ছবি তুলে, ভিডিও দেখে এবং অডিও শুনে। যার ফলে তাদের গুনাহ হয় এবং তারা খারাপে পরিণত হয়ে যায়।
-
বিদ্যালয়ে অবাধ্যবাধকতা: মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত আসক্তি হওয়ার ফরে
ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যেয়ে কারও কথা মান্য করে না, পড়াশোনা থেকে বিরত হয়ে
গেছে তাছাড়া তারা বাহিরের নোংরা, মাস্তান এবং বেয়াদব ছেলেদের সঙ্গে মিশে
খারাপ হয়ে যায়।
- মস্তিস্কের ক্ষেত্রে: কেউ যখন অতিরিক্ত মোবাইল ফোন চালায় তখন তার মস্তিস্কে খালি ঐ বিষয় সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করতে থাকে এবং নিজের কাজে মন দিতে পারে না। যার ফলে তার এবং তার পরিবারের আর্থিক এবং মানসিক ক্ষতি হয়।
- চোখের ক্ষেত্রে: একটা মানুষ যখন অতিরিক্ত মোবাইল চালায় তখন সেই মোবাইলের আলোর জন্য তার চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমাদের উচিত মোবাইল মিনিমাম ৩০-৪০ সে.মি. দূরে ধরা।
- কানের ক্ষেত্রে: মোবাইলে টানা অনেক সময় ধরে কথা বললে কানের সমস্যা হয়ে যায় তাই জন্য আমাদের উচিত মোবাইলে স্পিকার চালু করে দিয়ে দূরে রেখে কথা বলা আওয়াজ শোনা।
- ঘুমের ব্যাঘাত: যারা অতিরিক্ত মোবাইল ব্যাবহার করে তারা শোয়ার আগেও মোবাইল ব্যাবহার করে যার ফলে তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং সকালে স্কুলে এবং তার কাজে বা পড়াশোনাতে মনোযোগ দিতে পারে না।
- মেজাজ খিটখিটে হওয়া: অতিরিক্ত মোবাইল ব্যাবহার করলে তার মোবাইলের প্রতি একটি আসক্তি চলে আসে যার ফলে তাকে কোনো কথা বললে বা কাজ করতে দিলে সে শুনেনা বরং তার মেজাজ গরম বা খিটখিটে হয়ে থাকে যার ফলে সে সবার সাথে খারাপ আচরণ করে এবং নিজের পরিবারকে সবার সামনে লজ্জ্বিত করে।
- ঘাড় ব্যাথা: অতিরিক্ত মোবাইল টিপলে কিংবা অনেক সময় ধরে বন্ধুদের সাথে কথাবার্তা করলে পরে ঘাড় প্রচন্ড ব্যাথা হয়।
- খারাপ সাইটে আসক্ত হওয়া: এমন অনেক খারাপ খারাপ সাইট আছে যেখানে কোনো ছাত্র বা অন্যান্য যে কোনো মানুষ আসক্ত হলে তা আর ছাড়তে পারে না। তাছাড়া এই সকল সাইট দেখা অনেক গুণাহের কাজ যা মানুষকে ইসলামের দিক থেকে নিষেধ করা হয়েছে। তাছাড়া এ সকল সাইটে গিয়ে ভিডিও বা ছবি দেখলে তার মানসিক ক্ষমতা কমে যায় অর্থাৎ মাথায়ে কোনো পড়া সহজে ধরে রাখতে পারে না।
মোবাইলের এই সকল অপকারিতা থেকে নিজেকে রক্ষা করার উপায়
এতক্ষণ উপরে আলোচনা করা হলো একটি মোবাইলের মাধ্যমে কত ধরণের ভালো কাজ করা যায় যার মাধ্যমে সকল মানুষজন এবং ছাত্র-ছাত্রীরা উপকৃত হয় কিন্তু অপরদিকে এই একই মোবাইল মানুষের হাতে গেলে তারা কত ধরণের খারাপ কাজ করতে পারে। তাহলে চলুন এখন জানা যাক যে কি করলে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে এবং বিশেষ করে নিজের সন্তানদেরকে সৎ পথে আনবো এবং শিখাবো যেনো কখনো মোবাইলের অপব্যাবহার না করে এবং সবসময় ভালো কাজ করে।
- আপনি নিজেকে এবং নিজের সন্তানকে এই সকল খারাপ কাজ থেকে দূরে রাখতে অবশ্যয় আল্লাহ তা’আলার স্বরণ করবেন এবং বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগি করবেন এবং প্রতিদিন নিয়মিত নামাজ ও কুরআন পড়বেন তাহলে দেখবেন আপনি মোবাইলে আর কোনো খারাপ কাজ করছেন না।
- অনেক বাবা-মা আছে নিজের সন্তানকে মোবাইল দিয়ে নিজের কাজে ব্যাস্ত থাকে এবং তার সন্তান এদিকে মোবাইল টিপতে টিপতে খারাপ কিছু দেখতে লেগে গেছে তাই তাদের উচিত নিজের সন্তানের প্রতি যত্ন নেয়া অর্থাৎ মোবাইল দিয়ে দেখা যে সে কি দেখছে যদি খারাপ কিছু দেখে তাহলে অবশ্যয় তাকে সেখান থেকে বিরত রাখা।
- অনেক বাচ্চা রয়েছে বাহিরে খেলতে না যেয়ে ঘরে বসে অনলাইণে গেম খেলতে লাগে যার ফলে তারা গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে এবং আস্তে আস্তে খারাপ পথে চলে যায়। তাই বাবা-মায়ের উচিত তাদের বাচ্চাকে বাহিরে খেলতে নিয়ে যাওয়া।
- বর্তমান পড়ালেখার নিয়মানুযায়ী নিজের বাচ্চার হাতে মোবাইল দিন পড়ালেখার জন্য কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনিও তার পাশে বসে থাকেন এবং দেখেন যে সে কি করছে যদি খারাপ কিছু করে তাহলে তাকে তা থেকে বিরত রাখা বা দূরে রাখা।
- খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল হাতে না দেওয়া। হাতে মোবাইল দিলেও চেক করুন যে সে কোনো খারাপ ছবি, ভিডিও বা আসক্তি হবে এরকম কোনো গেমস বা অন্য কিছু করছে কিনা। করলে তা থেকে বিরত রাখুন।
- অল্প বয়সে হাতে মোবাইল ফোন না দেওয়া।
পরামর্শ
আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং আপনার উদ্দেশ্য আমারা পূরণ করতে পেরেছি। সময় থাকতে এই মোবাইল থেকে আপনি সাবধান হন এবং আপনার ছেলে-মেয়েকে সাবধান করুন এবং মোবাইল ফোনের ব্যাবহার করা শিখান অপব্যাবহার নয় যেনো তারা ভবিষ্যতে কিছু করতে পারে এবং আপনাদের নাম উজ্জ্বল করতে পারে। এরকম সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে আপনি অবশ্যয় আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে সাপোর্ট করুন এবং কোনো সমস্য বা ভুল হলে আমাদেরকে জানান। আস্সালামু আলাইকুম।
ইউনিক আইটি ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। কেননা কমেন্ট চেক করা হয়।
comment url